আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:১১

রিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসি

আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নাকি ক্লান্তি?-কারণ যেটাই হোক, কাবু করে ফেলল রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগে দারুণ এক জয় তুলে নিল চেলসি। আট মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল টমাস টুখেলের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া দলটি।

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বুধবার সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। রিয়ালের মাঠে ১-১ ড্র করে ফেরা ইংলিশ দলটি দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ অগ্রগামিতায় ফাইনালের টিকেট কাটল।

টিমো ভেরনারের গোলে চেলসি এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান ম্যাসন মাউন্ট।

পুরো ম্যাচে চেলসির একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল দেখার মতো। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রেখেও প্রায় পুরোটা সময়ই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় তারা। গোলের উদ্দেশে মোট ১৫টি শট নেয় দলটি, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।

অন্যদিকে, রিয়াল ছিল ছন্নছাড়া। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ-কোনো জায়গায়ই প্রত্যাশিত ফুটবল খেলতে পারেনি টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

কিছুটা ধীর গতির ফুটবলে শুরু ম্যাচের দশম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় রিয়াল। টনি ক্রুসের দূর থেকে নেওয়া শটটি অবশ্য অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি।

পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটে আক্রমণ শানায় চেলসি। দুই মিনিট পর আন্টোনিও রুডিগারের জোরালো শট পাঞ্চ করার পর ম্যাসন মাউন্টের গোলমুখে বাড়ানো বল পা দিয়ে রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া।

খানিক পর জালে বল পাঠান ভেরনার। তবে অল্প ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। ২৬তম মিনিটে করিম বেনজেমার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মঁদি।

পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। ভেরনারের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে কাই হাভার্টজকে খুঁজে নেন এনগোলো কঁতে। এগিয়ে আসা কোর্তোয়ার ওপর দিয়ে নেওয়া হাভার্টজের চিপ ক্রসবারে বাধা পায়, তবে সঠিক সময়ে গোলমুখে ছুটে গিয়ে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান ভেরনার।

চোট কাটিয়ে অধিনায়ক ফিরলেও এই গোলে রিয়ালের রক্ষণের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। হাভার্টজের শট নেওয়া থেকে গোল পর্যন্ত কেউই প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি, ভেরনারের হেডের সময় তো তার ধারে কাছে ছিল না কেউ!

৩৫তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভে ব্যবধান ধরে রাখেন মঁদি। মদ্রিচের ক্রসে বেনজেমার হেডে লাফিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান সেনেগালের এই গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে হাভার্টজের হেড ক্রসবারে বাধা পায়। পরের ১২ মিনিটে আরও দুটি ভালো সুযোগ পায় তারা; কিন্তু বাড়েনি ব্যবধান। ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মারেন মাউন্ট। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন হাভার্টজও; তবে তার শট এগিয়ে গিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া।

দিকহারা সতীর্থদের মাঝে একমাত্র কোর্তোয়াই ছিলেন স্বরূপে। ৬৬তম মিনিটে কঁতের শটও পা রুখে দেন তিনি। সুযোগ নষ্টের মিছিলে ১০ মিনিট পর ম্যাচ শেষ করে দিতে পারতো চেলসি; কিন্তু পুলিসিকের গোলমুখে বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেনি কেউ।

অবশেষে ৮৫তম মিনিটে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার মাউন্ট। নাচো ফের্নান্দেসের থেকে বল কেড়ে কঁতে ডি-বক্সে খুঁজে নেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিককে। যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণ উইঙ্গারের কাটব্যাক গোলমুখে পেয়ে দলকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন মাউন্ট।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত