ডেস্ক রিপোর্ট ।। যশোরের চাঞ্চল্যকর টুনি শাওন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। এঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল হালিম শেখের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।
গ্রেফতারকৃতরা যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার মোঃরবিউল ইসলাম সরদারের ছেলে ইয়াছিন হাসান রানা(২০), মৃত আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান বিশ্বাস ওরফে ভ্যাবো(৩০), আমিন মোড়লের ছেলে জয়(১৯), ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় আসামীরা যশোর জেলার শংকরপুর,কোতয়ালী থানার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোহাম্মদ আলী ( ২০), মিন্টু শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন মৃদুল (২০) ও মিত্র কটার ছেলে মো: মানিক (২৬)।
অভিযানের সময় হত্যা কাজে ব্যবহৃত ১ টি চাকু, ১ টি চাইনিজ কুড়াল আসামিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে যশোর জেলা ডিবি।
এর আগে গত ২২ জুলাই রাতে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার শংকরপুর জমাদার পাড়া ছোটনের মোড়ে জনশূন্য কমিউনিটি পুলিশিং অফিসে শংকরপুর জমাদার পাড়া আব্দুল হালিম সেখের ছোট ছেলে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী শাওন ওরফে টুনি শাওনকে অজ্ঞাতনামা ধারালো অস্ত্র দ্বারা বুকে-পিঠে ,গলায় স্ট্যাব করে ফেলে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে এ ঘটনা সংক্রান্ত ৭ থেকে ৮ জনকে সন্দেহ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হাওয়াই জেলার পুলিশ সুপার মহোদয় রহস্য উদঘাটন ও দ্রুত আসামি গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশ ডিবি পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ক্রাইম) এবং যশোর কো সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব বেলাল হোসাইন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান এবং ওসি ডিবি রুপম কুমার সরকার পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ও এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ে একটি চৌকস ডিবির টিম ও থানা পুলিশ যৌথভাবে ২৫ জুলাই দিবাগত রাত ১২.১০ মিনিট থেকে ভোর ০৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত যশোর কোতয়ালী ঝিকরগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দুই সদস্যসহ এ পর্যন্ত মোট ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেন গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকু চাইনিজ কুড়াল ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নিহত টুনি শাওন এবং হত্যাকারীরা পরস্পর সহযোগী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী তাদের মধ্যে অন্তঃকলহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়িভাবে স্ট্যাব করেন। জীবন বাঁচাতে কমিউনিটি পুলিশিং অফিসের ঢুকলেও ঈদের কারণে ডিফেন্স পার্টির সদস্যরা না থাকায় ওজন শূন্য থাকায় হত্যাকারী সন্ত্রাসীরা সুযোগ গ্রহণ করে। স্থানীয়ভাবে এবং গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ এ আরো জানা যায়, এই সকল সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক পরিচয় দানকারী আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। সন্ত্রাসীদের মদদ দাতা যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।