স্টাফ রিপোর্টার ।। যশোর সদরে আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রক যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। উপজেলায় গ্রুপটি এমপি গ্রুপ নামে পরিচিত। তবে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে এখন গ্রুপটিতে পাঁচটি উপগ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায়ই রাজনৈতিক দ্বন্দ সৃষ্টি হচ্ছে এমপি গ্রুপে।
সম্প্রতি এমপি নাবিল পন্থি যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মেহেদি হাসান মিন্টু ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (ভাইস চেয়ারম্যান) আনোয়ার হোসেন বিপুলের মধ্যকার দ্বন্দ গ্রুপটির রাজনৈতিক অবস্থানকে বিতর্কিত করছে।
জানা যায়, কাজী নাবিল আহমেদ (এমপি)’র আশু রোগমুক্তি কামনায় গত ৩১ জুলাই উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আনু একটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তপসীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মেহেদি হাসান মিন্টু। আনু মেহেদি হাসান মিন্টুর অনুসারী।
এতে বাধা দেয় এমপি গ্রুপের আনোয়ার হোসেন বিপুলের পক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রেজা পান্নু। দোয়া অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রুদ্রপুর গ্রাম থেকে আসা ৩/৪ টি ইজিবাইকে থাকা কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। পান্নু ও মুজিদের নেতৃত্বে এ হামলায় প্রতিটি ইজিবাইক ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনা জানাজানি হলে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ঘটনাস্থলে আসলে পান্নু ও মুজিদরা পালিয়ে যায়। পরে হালিম, লিটন বিল্লালসহ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর ঐ এলাকায় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানকালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা ছত্রভঙ্গ হয়। এ বিষয়ে চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, পান্নু হাইব্রিড নেতা। ওর পরিবারে কেউ আওয়ামীলীগ করে না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পান্নু ভাতুড়িয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী ইনরোজ ও যুবলীগ নেতা কাজল হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমপি গ্রুপের এক নেতা জানান, সম্প্রতি যশোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে এম পি গ্রুপের রাজনীতিতে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত নিজেদের মধ্যে মারামারি, হত্যা চেষ্টাসহ বিবাদ লেগেই আছে। সম্প্রতি চাঁচড়ার ঐ ঘটনাকে স্বরণ করে তিনি বলেন, বিপুলের ছেলেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাকর্মী অপমানিত হয়। আধিপত্য বিস্তারের জন্য রাজনীতিতে নোংরামি কখনই ভালো বার্তা নয়।