মহিউদ্দিন সানি, যশোর থেকে ।। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে এতিম ছাত্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সোমবার ( ৯ ই আগষ্ট) যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে এতিমদের মাঝে ভালো মানের খাবার বিতরণ করা হয়।
নওয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর তুহিনের উদ্যোগে শোকাবহ আগস্ট-২১ পালন কমিটি, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহারুল ইসলাম। এসময় তিনি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই হননি, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
তিনি আরও বলেন, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বেগম মুজিব তার পিতা-মাতা দুই জনকেই হারান এবং ১৯৩৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। এই ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে শোকাবহ আগস্ট-২১ পালন কমিটি, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিক আহম্মেদসহ তালবাড়িয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।