তোমরা জান্নাতের আশায় ইবাদত কর না, জান্নাতের আশায় ইবাদতও আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। কথাটি শক্ত ও কঠোর হ লেও চরম সত্য কারণ ইবাদত একমাত্র কেবলমাত্র আল্লাহর রেজাইমুন্দী বা খুশি বা সন্তুষ্টির জন্য। আর জান্নাত হলো আল্লাহর তরফ হতে পুরস্কারমাত্র।
উদাহরণ : কোন এক দেশের রাজার একাধিক স্ত্রী থাকায় স্ত্রীগণ রাজা বাহাদুরকে ঠিকমত খেদমত করেন না। তাই রাজা তার সেবার জন্য একজন দাসী নিয়োগ দেন। দাসীর সেবায় রাজা মুগ্ধ, তাই তাকে লাভ করতে শুরু করেন। এই দেখে রানীরা সবাই দাসীকে নির্যাতন করেন। রাজা একদা সকল রানী সাথে দাসীকেও ডেকে পাঠালেন। তারা সবাই আসলে রাজা বললেন, আজ রাত তোমাদের পুরস্কারের রাত। তোমাদের যার যেটা পছন্দ সেটা ধরে রেখো। তাকে সেই সম্পদ পুরস্কৃত করা হবে। রাজার কথা মতো সকল রানী রাতের ঘুম হারাম করে, যার যার হাতের কাছে মূল্যবান সম্পদ, হীরা, মুক্তা, জহরত, স্বর্ণ ইত্যাদি ধরে বসে আছেন।
সকাল হলে রাজা উঠে সবাইকে মূল্যবান সম্পদ ধরে বসে থাকতে দেখলেন ঠিকই, কিন্তু দাসীকে খালী হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললেন তোমাকেও নির্দেশ করা হয়েছে। তুমিও ধর……! এবার দাসী রাজাকে ধরলেন। সকল রানী বেকুব সেজে গেলো। রাজা দাসীর প্রতি সন্তুষ্ট হলেন এবং সকল রানীকে তাদের ধরা সম্পদ দিয়ে তালাক দিয়ে রাজ প্রাসাদ থেকে বিতাড়িত করলেন আর দাসী হলেন রানী।
অর্থাৎ যে আল্লাহকে খুশি বা সন্তুষ্ট করবে, তার জন্য সকল জান্নাত এস্তেগবাল বা স্বাগতম জানাবেন। জান্নাতই ঐ ব্যক্তির দিদার পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করবেন।