গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২ জন। এর আগে গত ১৮ জুন একদিনে ৫৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে হিসেবে প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে করোনাতে সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যু দেখলো দেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫২ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ৭৩৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৯৭ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসেবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ২২ হাজার ৩০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।
আজ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, ৫ সেপ্টেম্বর ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ৪ সেপ্টেম্বর ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ ছিল।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২১ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৪০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ৩৭৮টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫২৮টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ লাখ ৬৭ হাজার ২০৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৬৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন আর নারী ৩২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ২৫৯ জন আর নারী মারা গেলেন নয় হাজার ৪৭৭ জন।
তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুইজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আটজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন তিনজন।
মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের নয়জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দুইজন করে আর সিলেট বিভাগের আছেন তিনজন।
অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন।