আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:৩৪

জাপার সাবেক সাংসদ ও কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার   : প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে নাটোর-১ আসনের জাতীয় পার্টির (এ) সাবেক সংসদ সদস্য এম আবু তালহা ও মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাবেক কমিশনার মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্র্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন নগরীর খালিশপুর থানায় এ মামলাটি করেন।
মামলার বাদী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন জানান, আমদানিকারক নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম আবু তালহা ২০০৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০০৬ সালের জুলাই মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য (বিয়ার) আমদানি করেন। আমদানিকৃত মাদকদ্রব্য জাহাজের ক্রুদের মধ্যে বিক্রি করার কথা থাকলেও তা না করে বাইরে বিক্রি করেন। যার রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০ টাকা। কিন্তু মংলা কাস্টমসের সাবেক কমিশনার মো. নুরুল ইসলামের যোগসাজসে ওই রাজস্ব কমিয়ে মাত্র দুই লাখ টাকা করা হয়।
এই বিষয়ে মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রতিবেদনেও রাজস্বের হিসেব দাঁড়ায় এক কোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০ টাকা। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে দুদক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। ফলে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাবেক কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম ও নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম আবু তালহার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর আলম ইলী মামলা হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক কাস্টমস কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, আমদানিকারক মেসার্স মিডিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক হুমায়ন কবীর, বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ, মেসার্স প্রফেসি শিপিং লাইন্সের মালিক জুলফিকার মালেক ও একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মেসার্স মিডিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, খুলনা শাখায় এলসি খুলে চার হাজার ৫৫ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার দামের সাবান ও বডি স্প্রে জাতীয় প্রসাধনী পণ্য দুবাই থেকে আমদানি করেন। কিন্তু মংলা বন্দর দিয়ে ওই পণ্য আমদানির আড়ালে তারা অবৈধভাবে ২৪ হাজার ২৪০ বোতল অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন প্রকার বিদেশি মদসহ দুই কন্টেইনার ইলেক্ট্রনিক ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করেন। এভাবে তারা মংলা বন্দর দিয়ে ঘোষণাবহির্ভূত মালামাল আমদানি করে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেন।
এ ঘটনায় ২০১১ সালের ৪ জুলাই মংলা থানায় নূরুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মানি লন্ডারিং আইনের ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন সাবেক কাস্টমস কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত