ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটিতে স্বেচ্ছাচারিতা, দুনীর্তি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে কমিটি থেকে ১৬ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. আশেক মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি বছরে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা ইংরেজী মিলিয়ে স্বাক্ষরিত সরাইল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে আনিসুল ইসলাম ঠাকুরকে আহবায়ক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সদস্য সচিব এবং ১৬ নং সদস্য আতাহার হোসেন মৃধা বুকুলকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের একমাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে নোয়াগাঁও বিএনপিকে ধ্বংশ করার রোড ম্যাপ তৈরী করা হয়।
২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সংসদ নির্বাচনে আতাহার হোসেন মৃধা বুকুল তার চাচা জাতীয় পার্টির নেতা জিয়াউল হক মৃধার নির্বাচনের পক্ষে মিছিল-মিটিং করেছিলো। তখন আতাহার হোসেন মৃধার নীল নকশায় নোয়াগাঁও বিনএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিতে দম নিতে পারতো না।
চলতি বছরের ২২ শে আগস্ট উপজেলা আহবায়ক কমিটির সেই আতাহার হোসেন মৃধা বুকুলকে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব এবং হারুন অর রশিদকে আহবায়ক করে ৩১ সদস্য মনগড়া কমিটি নোয়াগাঁওকে লাওয়াই খালের তলানিতে ডুবিয়েছেন। নবগঠিত কমিটির ১নং সদস্য নাম প্রফেসর আবু জাফর। সে আদৌ প্রফেসর কি না নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি বোধগম্য নয়। ২৪ নং সদস্য আবু ছায়েদ জাতীয় পার্টির একজন সক্রিয় কর্মী।
তিনি আরো বলেন, দলের ত্যাগী পরীক্ষীত হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে উপজেলার দুই নেতা অর্থে-বর্তে সন্তোষ্ট হয়ে জাতীয়তাবাদী দল এর পরিবর্তে মনের মানুষ দল নামে নোয়াগাঁও বিএনপিকে সাঁজানোর অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছেন। উপজেলা আহবায়ক কমিটির দুই নেতার স্বেচ্ছারিতায় এর আগেও চুন্টা ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটির ২৪ জন পদত্যাগ করেছেন।
তাদের স্বজনপ্রীতি ও দুনীর্তির কারনে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন থেকে ১৬ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগী নেতারা নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপিকে ধান্দাবাজ লোকদের হাত থেকে রক্ষার জন্য দলের ঊধ্বর্তন নীতি নির্ধারকসহ তারেক রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।