মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা চট্টগ্রামের একটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার আদালতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সফিউদ্দিন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, শুক্রবার রাতে যশোরের বেনাপোল থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ভোলাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছাড়ার আগে তাকে সীমান্ত থেকে আটক করা হয়।
জবানবন্দিতে তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের স্কুল বাসস্টপে নিয়ে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। এ ঘটনার পর তার স্বামী বাবুল পাঁচলাইশ থানায় ৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি সিএমপির ডিবি থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয় এবং তদন্ত শুরু কর হয়।
চলতি বছরের ১১ মে বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের কার্যালয়ে ডাকা হয়। তবে, গোয়েন্দাদের সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে তাকে পিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়।
এরপরের দিন মিতুর বাবা ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়। মিতুর বাবার অভিযোগ, বাবুল এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী। বাবুলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
পিবিআই একই দিনে আদালতে আগের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। যেখানে বাবুল আক্তারকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাবুল এখন ফেনী জেলা কারাগারে আছেন।