আজ - মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:২৮

আমি মরে গেলে বা গুম হলে ইলিয়াস দায়ী থাকবে: সুবাহ

সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নবাবাগত চিত্রনায়িকা শাহ হুমায়রা সুবহাকে। সেই বিয়ের কিছুদিন পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন সুবহা। একইভাবে ইলিয়াসও সুবহার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

এদিকে আজ বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে ফেসবুক ভিডিও বার্তায় এসে সুবাহর নামে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন ইলিয়াস। সেখানে এই গায়ক বলেন, ‘এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এরপরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারি উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’

ইলিয়াস জানান, সুবাহর আগের স্বামীর নাম মো. ইয়াসির আরাফাত।

তবে এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করলেন সুবাহ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইলিয়াস নিজেই আমার আগে তিন চারটা বিয়ে করেছে। সে সব বউদের কাছ থেকে ডলার এবং টাকা চাইত। তার প্রথম বউ আমেরিকা প্রবাসী নিশাত তাবাসসুম আলম বলছে এক কথা সবখানে।

সুইডেনে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার মায়ের সাথে আমার কথা হয়েছিল। তারাও বলেছে তাদের থেকেও ইলিয়াস বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা চাইতো। সব রেকর্ডগুলো আমার কাছে আছে।’

নিজের বিয়ের প্রসঙ্গে সুবাহ বলেন, ‘আমার যদি আগে বিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আগের বিয়ের কাবিননামা আছে? কাবিননামা বা রেজিস্ট্রির কাগজ ছাড়া তো বিয়ে হওয়ার কথা না। এইসব উল্টাপাল্টা মিথ্যা ছড়িয়ে সে আমার দেওয়া মামলাগুলো থেকে বাঁচতে চাচ্ছে যেন আমি মামলা তুলে নেই এবং দেনমোহরের টাকা না দেওয়ার ফন্দি করছে।’

ইলিয়াসকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার ব্যাপারে সুবাহ বলেন, ‘আমার আগে আরও তিন বিয়ে করা পুরুষকে আমি কিভাবে ফাঁসিয়ে বিয়ে করব? তাও এত কম টাকা কাবিনে দেনমহরে? যদি ফাঁসিয়ে বিয়ে করতাম তাহলে দেনমোহর থাকতো ৭৭ লক্ষ টাকা। এখন মাত্র ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা থাকতো না আমার কাছে।’

‘সে দোষী না নির্দোষ ই সেটার আদালতে প্রমাণ হবে ইনশাআল্লাহ’- দাবি করেন সুবাহ।

নিজের ক্ষতির আশংকা করে সুবাহ বলেন, ‘আমার যদি কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বা আমি মরে যাই বা গুম হয়ে যাই বা হারিয়ে যাই এর জন্য ইলিয়াস হোসেন এবং ইলিয়াস হোসেনের পুরো পরিবার দায়ী থাকবে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমাকে সে সবসময় ভয়-ভীতি, বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং সামাজিকভাবে হেয় করছে। আমি অনেক ভেঙে পড়েছি।’

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত