রাজধানীর অদূরে সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে।
একটি মাইক্রোবাস উল্টোপথে যাওয়ার সময় সড়ক বিভাজন ও কাভার্ডভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেলে মেহেদী হাসান পারভেজ নামের এক গার্মেন্টস কর্মকর্তা নিহত হয়।
অপর দিকে আশুলিয়ায় জামগড়া কাভার্ডভ্যানের চাপায় রাসেল শেখ নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়।
দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার থানা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাকিজার সামনে আজ ভোর ৬ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা আরও দু’জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
নিহত মেহেদী “ওয়াইপি আশুলিয়া” নামের একটি ক্যাপ তৈরি কারখানার অ্যাডমিন অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাভারের রাজাশনের স্থায়ী বাসিন্দা। তার স্থায়ী ঠিকানা বরিশাল বলে জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি আতিকুর রহমান জানান, সকালে মাইক্রোবাসটি উল্টোপথে ফুলবাড়িয়া থেকে নবীনগরের দিকে যাচ্ছিলো। সাভারের পাকিজার সামনে পৌঁছলে ঢাকামুখী আহাদ পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান মাইক্রোবাসটিকে চাপ দেয়।
এসময় মাইক্রোবাসটি ডানপাশের আইল্যান্ড ও কাভার্ডভ্যানের মাঝে চাপা পড়লে মেহেদী হাসান পারভেজ নিহত হন। এসময় আরও দুইজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় রাসেল শেখ (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থল ধামরাইয়ে যাওয়ার সময় জামগড়া এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাসেল শেখের মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই সুব্রত রায়।
নিহত রাসেল শেখ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার রাইজকান্দী গ্রামের মৃত মান্নান শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ইয়ারপুরের বাগবাড়ি এলাকায় থেকে ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।