সৎ বাবা মায়ের দ্বিতীয় স্বামী দ্বারা ধর্ষনের শিকার ১৩ বছরে কিশোরী। চট্রগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটছে।
ধর্ষনের শিকার কিশোরী জানায় ৩ বছর আগে তার মা ৩য় বিবাহ করে স্বামীর সাথে চট্রগ্রাম কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন।কিশোরীর মা ও খালা কাজে গেলে তার সৎ বাবা ফরহাদ তাকে হুমকি ধামকি ভয় দেখিয়ে ২ বছর ধরে ধর্ষনের চেস্টা চালায়।গত শুক্রবার কিশোরীর মা গার্মেন্টসের কাজে চলে গেলে তিনি তার খালার সাথেয় বাড়ী ছিলেন।কিশোরীর ছোট খালা ওষুধ আনতে বাজারে গেলে সৎ বাবা তাকে ধর্ষন করে।
ধর্ষনের ব্যাপারে উক্ত কিশোরীর মা জানায়,তার প্রথম স্বামী মারা গেলে সেই ঘরের দুটি কন্যা সন্তান প্রথম স্বামীর মায়ের কাছে রেখে তিনি দ্বীতিয় বিবাহ করেন।দ্বিতীয় স্বামী দুর্ঘটনায় মারা গেলে। দ্বিতীয় ঘরের (১৩) কিশোরী কে সংগে নিয়ে তৃতীয় বিবাহ করেন ফরহাদ (৪২)এর সাথে।তৃতীয় বিবাহের পরে তিনি কিশোরী কন্যা ও ছোট বোন কে নিয়ে চট্রগ্রামের কর্ণফুলী চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন এবং চট্রগ্রাম শহরে তিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন।তৃতীয় স্বামী ফরহাদ এতো বড় জঘন্য কাজ করবে তিনি ভাবতে পারেন নায়।
ধর্ষনের শিকার কিশোরীর ছোট খালা জানান,তিনি ও তার ভাগ্নি বাসায় ছিলেন।জরুরি ওষুধ আনতে তিনি বাজারে যান।বাজার থেকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।অনেক ডাকাডাকির পর দুলা ভাই ফরহাদ (৪২) দরজা খুলে দ্রুত চলে যান।তিনি ঘরে ঢুকে বিবস্ত্র ভাগ্নিকে দেখতে পান।কিশোরী ভাগ্নি তখন তার খালাকে জানান তার সৎ বাবা তাকে একা পেয়ে ২ বার ধর্ষন করেন।
ধর্ষনের ব্যাপারে কর্ণফুলী থানায় সোমবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষনের মামলা করেন।শুক্রবারের ঘটনা সোমবার মামলা করলেন। জানতে চাইলে কিশোরীর মা বলেন ফরহাদের হুমকি বিভিন্ন ভয়ভিতীর কারনে মামলা করে দেরি হয়।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ওসি জানান অভিযোগের ভিত্তিতে অতি দ্রুত সৎ পিতা ফরহাদ (৪২) কে গ্রেফতার করা হয়।ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষনের ব্যাপারটি তিনি স্বীকার করেন।ধর্ষনকারী ফরহাদ চটগ্রামের পটিয়ার মৃত ওয়াকীল উদ্দিনের ছেলে।
কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পাঠানো হয়েছে এবং ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নমুনা নিতে আবেদন করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।