আটক হৃদয় বাগেরহাট জেলা সদরের সুন্দর ঘোনা গ্রামের ইমন সাইদের ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতো। ওই নারীর আগের পক্ষের দুই মেয়ে রয়েছে। যাদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হৃদয়।
হৃদয়ের স্ত্রী অভিযোগ করে খানজাহান আলী নিউজকে বলেন, ‘আমি খুলনায় প্রজেক্ট ফুডে কাজ করতাম। ওই ফুড কোম্পানির অফিস পিয়ন ছিলো ইসমত সাইদ হৃদয়। আমার সাথে তার প্রেম হয় তারপর বিয়ে। আমার আগের পক্ষের মেয়ে আছে ১৭ ও ১৫ বছরের। হৃদয় ও মেয়েদের নিয়ে বাহাদুরপুর বাশতলায় একটি বাড়িতে বসবাস করি। তারপর হৃদয় ইজিবাইক চালায়। আমার অজান্তে হৃদয়ের কু-নজর পড়ে আমার আগের ঘরের দুই মেয়ের ওপর।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায়ই সময় আমার দুই মেয়ের স্পর্শকাতর যায়গায় হাত দিতো। এক পর্যায়ে ফাঁদে ফেলে দুই মেয়েকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। আর ধর্ষণের ছবি মোবাইলে তুলে হুমকি দিতো কাউকে কোনো কিছু না বলতে। সর্বশেষ আমার বড় মেয়েকে বাধ্য করে তোলা নগ্ন ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে জোর করে বিয়ে করে। সব কিছু জানতে পেরে পুলিশকে জানালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হৃদয়কে আটক ও মেয়েকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসে।’
সেই সঙ্গে ইসমত সাইদ হৃদয়কে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসআই মতিয়ার রহমান ঢাকার বাড্ডা থেকে ইসমত সাইদ হৃদয়কে আটক করেছে। ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।