২০১৭ সালে নোয়াখালীতে বিয়ে বাড়িতে কোমল পানীয়তে মিশিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে গৃহবধূর (২৪) অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মেহেদী হাসান রাজু (৩৫)। সেই ভিডিও দেখিয়ে টানা ৬ বছর ধরে চলে ধর্ষণ।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজুকে জেলা শহর মাইজদীর পৌর পার্ক থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান রাজু সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের চরকলিমুল্লার সিদ্দিক মাস্টার বাড়ির আবু আবদুল্লার ছেলে। মেহেদী হাসান রাজু ভুক্তভোগী নারীর ননদের স্বামী।
জানা যায়, ২০১৭ সালে সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের বিয়ে বাড়িতে ওই গৃহবধূকে কোমল পানীয়ের সাথে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে রাজু। গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকেন। সেই সুযোগে পরে আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাজু। এছাড়াও সেসব ভিডিও গৃহবধূর আত্মীয় স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এতে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণের সত্যতা পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে আমাকে ভয় দেখিয়ে ৬ বছর একাধিকবার ধর্ষণ করে রাজু। আমার আত্মীয় স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেয়। বাধ্য হয়ে আমি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে নোয়াখালী পৌর পার্কে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাজিম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, গ্রেপ্তার রাজুর কাছ থেকে জব্দকৃত স্মার্টফোনে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হবে।