যশোরে হুশতলায় পরকীয়ার কারনে স্বামী ঔষধ ব্যবসায়ী জহির হাসানকে স্ত্রী শেফালী অভিনব পদ্ধতিতে হত্যা করার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারইং
বকচর হুশতলা এলাকার শান্তা কিন্ডার গার্ডেন, শান্তা রানী কুন্ডু এর ২ তলা বাসার নীচ তলার ভাড়াটিয়া জহির হাসান গাজীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ, ডিবি ও র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মৃত জহির আলীর বাম হাতের প্রতিটি শিরায় কালো দাগ পরিলক্ষিত হওয়ায় মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
জেলা পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর নির্দেশে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন। নিহত জহির হাসান গাজীর স্ত্রী শেফালী বেগমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার স্বামী জহির হাসানকে হত্যার দায় স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে জানায়।শেফালী বেগমের সাথে শংকরপুরের রবিউলের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহের কারনে স্বামী জহির হাসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।স্বামী জহির হাসানকে অভিনব পদ্ধতিতে প্রথমে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে।পরবর্তিতে মোবাইলের ব্যাটারী থেকে এসিড সংগ্রহ করে। ইনজেকশন সিরিঞ্জ এ ভরে ঘুমন্ত জহির হাসানের বাম হাতের শিরায় পুশ করে। স্ত্রী শেফালীর এসিড প্রয়োগে অল্প সময়েই জহির মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে আসামী শেফালীকে গ্রেফতার করে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী শেফালী স্বীকার করে এবং স্বামী জহির হাসান হত্যার রহস্য গোপন করা আলামত ভাঙ্গা মোবাইল, ব্যাটারীর অংশ বিশেষ, নিহতের ঘর থেকে এবং মনিহার ফলপট্টি রোড থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ঘুমের ঔষের খালিপাতা এবং আসামীর কর্মস্থল মাতৃসেবা ক্লিনিক থেকে নমুনা সিরিঞ্জ ও ঘুমের ঔষধ জি-ডায়াজিপাম ৫ মিলিগ্রাম জব্দ করা হয়।স্ত্রী দ্বারা স্বামী হত্যায় নিহত জহির হাসানের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেন।