আটককৃতরা হলেন, জ্বীনের বাদশা ফখরুল ইসলাম ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানা এলাকার ফুল গাছিয়া গ্রামের আংকুর শিকদারের ছেলে, ফকরুলের স্ত্রী সুমি ও রংপুর মিঠা পুকুর উপজেলার জুতবানা গ্রামের আলিফ মিয়া।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সিআইড কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর জেলা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার মোহাম্মদ আবুল হোসেন একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তার ব্যবসার অনেকগুলি টাকা বাকি পড়ে আছে। টাকাগুলো আদায় করতে পারছিলো না। টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে জিনের মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান করা হয়। টেলিভিশনের পর্দায় মোবাইল নম্বার পেয়ে আবুল হোসেন ফোন দিলে শুরু হয় জ্বীনের বাদশার প্রতারণা। একে একে বিভিন্ন কায়দায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেই চক্রটি। প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি সিআইডি পুলিশ তদন্তবার গ্রহণ করে। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রটির সন্ধান পায়। পরে অভিযান পরিচালনা করে নারী সদস্যসহ বাদশাকেই আটক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই টাকা দিয়ে ফকরুল নিজ এলাকায় বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে।