আজ - রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৩:১৬

পরকিয়ার জেরে ছেলের হাতে প্রাণ গেলো মায়ের।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জমিলা খাতুন উজোলা (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নিজ বাড়ির নলকূপের পাশে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আব্দুল করিম (৩৬) নামের এক ব্যক্তিও গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও ছেলে আব্দুল মান্নান এবং প্রতিবেশী জাকিরকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার জেরে জমিলা খাতুনের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল আব্দুল করিমের। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রামে শালিস বৈঠকও হয়। তারপরও থামেনি তাদের এ কাজ। পরে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গৃহবধূ জমিলা খাতুন ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যান তখন আব্দুল করিমও ওই বাড়িতে ছিলেন। সেসময় কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও পায়ে কুপিয়ে জমিলা খাতুনকে হত্যা করেন এবং আব্দুল করিমকে গলা কেটে ফেলে রেখে যায়। তখন আব্দুল করিম সেখান থেকে সরে গেলে বিষয়টি টের পেয়ে নিহতের স্বামী ও ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে তার মরদেহ উঠানে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, একটি হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা এসেছি। শুনেছি দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের গৃহবধূ জমিলা খাতুনের সঙ্গে আব্দুল করিমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সকালে ওই বাড়িতে এসেছিলেন আব্দুল করিম। এ সময় ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা ও তাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহত আব্দুল করিম বলেছেন আমাদের দুজনকে দেখে জমিলার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী জাকির জমিলাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। একই সঙ্গে আমাকেও কুপিয়ে আহত করেন। তবে সঠিক বিষয়টি জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরো সংবাদ