যশোরে যুবলীগ কর্মী ও সদ্য সমাপ্ত সদর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী আলী হোসেন (৩২) হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম মামলাটি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
তবে কতজনকে আসামি করা হয়েছে মামলায় তা সঠিক ভাবে না জানা গেলেও একটি সূত্রের দাবি ৮জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই ৮জনের মধ্যে দুইএকজনের নাম বিয়োজন বা সংযোজন হতে পারে।
সূত্রমতে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মফজেলের দুই ছেলে নবাব হোসেন (৫৫) ও সিরাজ হোসেন (৫২), পাঁচবাড়িয়া স্কুলপাড়ার মৃত সফিয়ার রহমানের ছেলে ইকরামুল (৪৫), বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে টোকন (৪৫), শহরের পালবাড়ির মোড়ের মৃত জামাত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (৫২), ছোট বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সজল আল মামুন সোহেল (৩৫), চাঁচড়া ভাতুড়িয়ার নারায়ণপুর গ্রামের নূর ইসলাম মহুরীর ছেলে ইসরাজুল (২৫) এবং কিসমত নওয়াপাড়ার ইন্তাজের স’মিলের সামনে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের কর্মচারী এনামুলের (২৮) নাম রয়েছে।
নিহতের মায়ের দাবি, তার ছেলে আলী হোসেন মাটিবালি ও পুরনো গাড়ির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৫ জুন সদর উপজেলার নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় ই ব্লক রাস্তার পাশে ৬জুন রাতে খাওয়া দাওয়া হয়। আলী হোসেন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একই এলাকার সোহান ও নয়নকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। রাত সোয়া ১২টার দিকে তেঁতুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে আসামিরা পেছন থেকে তাকে ধাওয়া করে। এবং প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র-গুলি ছিলো। তারা প্রত্যেকে গুলি করে পালিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার ছেলে আলী হোসেন মারা যায়। তারপর প্রত্যক্ষদর্শী নয়ন ও সোহান চিৎকার দিয়ে লোকজন জোগাড় করলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আলী হোসেনকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর তিনি বিষয়টি জেনে শুনে শনিবার কোতায়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
কোতয়ালি থানায় ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, নিহতের মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রাতে মামলা রেকর্ড করা হবে। তবে তিনি আসামিদের নাম ঠিকানা জানাতে রাজি হননি।
তবে সূত্রটি জানিয়েছে, ৮জনের নাম উল্লেখ করলেও পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। রাতে এই মামলাটি রেকর্ড করা হবে থানায়। তবে এই তালিকা থেকে দুই একজনের নাম বাদ যেতে পারে। এই তালিকায় সজল আল মামুন সোহেল নামে একজনের নাম আছে। তিনি ঘটনার সময় আদৌ ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ফলে উল্লেখিত তালিকা অনুযায়ী এজাহার রেকর্ড নাও হতে পারে। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর প্রকৃত এজাহারভুক্তদের নাম পরিচয় জানা যাবে।