হাসপাতালে ভর্তি শাকিল ও তার স্বজনরা অভিযোগে বলেন-এলাকাটিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইন্তাজ আলীর ছেলে হৃদয়, তিতা খোকন মিয়ার ছেলে রাজিব ও রোকন মিয়ার ছেলে সুমন। তারা শাকিলের পকেট থেকে গরু কেনার লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। আহত গাড়ি ব্যবসায়ী শাকিলের স্ত্রী সুলতানা পারভীন অভিযোগ করেন-ওরা চরম বেপরোয়া। প্রতিনিয়ত নেশা করে। একটি গলিতে ভেতর ওদের আস্থানা। এদিনও তারা মাদক সেবন করছিল। এ সময় এলাকার সিনিয়র সিটিজেন তপন ও শাকিল তাদের এলাকায় আসতে নিষেধ করেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিলকে ছুরিকাঘাতে জখম ও টাকা-মোবাইল ছিনতাই করে নেয়। জুবায়ের নামে এক স্বজন বলেন-আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। খবর পেয়ে এলাকায় আসি। স্থানীয়রা জানান-উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা শাকিল ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছে। ওরা প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে, চাকু-ছুরি বেচাবিক্রি করে। শাকিল ভাই এলাকার ছেলে-মেয়েদের খেলার বলসহ নানা সরঞ্জাম দেয়। ওরা এগুলোর বিরোধীতা করে। ওদের পেশা ও নেশা মাদক সেবন ও বেচাবিক্রি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই নানাভাবে হেনস্তা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান-কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেয় এলাকারই এক কথিত বড়ভাই। যেকারণে তাদের বিরুদ্ধে সহসাই কেউ মুখ খুলতে চান না। তারা এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।