নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে শহরের মদনখালীর স্লুইস গেট এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
এরআগে রোববার (১১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন ওই কলেজছাত্র।
সালেহ আহমেদ শহরের টেপাখোলা এলাকার হোসেন আহমেদের ছেলে। তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ফরিদপুর দমকল বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ডুবুরি দল ওই কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে গতকাল পর্যন্ত ওই তরুণের সন্ধান না পাওয়ায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে আবার খুঁজতে শুরু করে ডুবুরিরা। এরপর দুপুর ৩টার দিকে স্লুইস গেটের যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল তার থেকে পশ্চিমে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে শহরের চুনাঘাটা বেড়িবাধ এলাকায় তার মরদেহ ভেসে উঠে। পরে সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ জানান, নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর মরদেহ ভেসে ওঠায় তা উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা নদীর শাখা কুমার নদ ফরিদপুর শহরের মদনখালী এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা দিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার সেনদিয়া ঘাটে বিলরুট ক্যানেলে গিয়ে পড়েছে। মদনখালীতে কুমার নদের উৎপত্তিস্থল থেকে আনুমানিক তিনশ মিটার পশ্চিমে (ভাটিতে) পানি উন্নয়ন বোর্ড এ স্লুইস গেটটি স্থাপন করে। বর্ষার সময় পানির প্রবাহ হ্রাস বৃদ্ধির জন্য এ স্লুইস গেটটি ব্যবহার করা হয়। এজন্য বর্ষাকালে স্লুইস গেট এলাকায় প্রচুর স্রোতের সৃষ্টি হয়। এ কারণে বর্ষার সময় এই এলাকাটি একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে ওঠে শহরবাসীর কাছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ জুলাই শহরের কমলাপুর বালির মাঠ এলাকার সিরাজ শেখের ছেলে সরকারি ইয়াছিন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন শেখ (১৮) নামের এক কলেজছাত্রও ওই স্লুইস গেট এলাকায় গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে নিখোঁজের ৩১ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে।