যশোরে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা টিএসআই রফিক ও তার স্ত্রী ঝরণা ইয়াসমিনের নামে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের অনুসন্ধানের পর উপপরিচালক মোশারফ হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র স্পেশাল জজ নাজমুল আলম এ আদেশ দিয়েছেন। টিএসআই রফিক বর্তমানে ফরিদপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, দুদকের কাছে প্রথমে টিএসআই রফিকের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ আসে। এক পর্যায়ে তার কাছে স্বামী-স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়। কিন্তু তার পাঠানো হিসেবে ব্যাপক অমিল পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার বিপুল সম্পত্তির ফিরিস্থি।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সারাদেশে রফিক দম্পতির সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জ জেলায় সাততলা বিল্ডিং, যশোর শহরে একটি ছয়তলা বাড়ি, একটি দুইতলা মার্কেট, একটি দুইতলা ভবন, ঢাকাতে ফ্লাট, রাজশাহী শহরে বাড়ি, খুলনায় জমি ফ্লাটসহ বিভিন্ন এলাকায় তার খামারসহ নানা ধরণের ব্যবসা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি যেখানেই চাকরি করেছেন সেখানেই গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ছিলেন যশোরের এক অপ্রতিরোধ্য পুলিশ কর্মকর্তা। সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিনি সম্পত্তি জবর দখল করেছেন। যশোর শহরের বড় বাজার, বেজপাড়া, আরএনরোড, মুড়লি মোড়, পুলেরহাট মোড়, পাগলাদহ গ্রামে রয়েছে এ দম্পত্তির বিপুল পরিমান সম্পত্তি।
এখানেই শেষ না তিনি জমির দলিলে দাম দেখিয়েছেন বাজার দাম থেকে অনেক কম। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার শুকতাকল মৌজায় পাঁচ শতক জমির দাম দেখিয়েছেন মাত্র এক হাজার টাকা।