আজ - মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:১০

যশোরের সাবেক এসপি আনিসের বিরুদ্ধে আবারো মামলা।

যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়ার হাসানুর গাজী নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি চালিয়ে অঙ্গহানির অভিযোগে বুধবার তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী হাসানুর গাজী নিজেই মামলা করেছেন। তিনি কিসমত নওয়াপাড়ার কুদ্দুস আলীর ছেলে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ গ্রহণ করলেও এ দিন কোনো আদেশ দেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, কোতয়ালি থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি শিকদার আক্কাছ আলী, এসআই জামাল হোসেন, এসআই এইচ এম মাহামুদ, কনস্টেবল অভিজিৎ, হাসনাত, হাফিজ ও সাঈদ।
হাসানুর গাজী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট রাত ১২টার দিকে উল্লিখিত আসামিরা তার বাড়িতে যান। এ সময় আসামি তৎকালীন ওসি শিকদার আক্কাছ আলীর নির্দেশে আসামি কনস্টেবল অভিজিৎ, হাসনাত, হাফিজ ও সাঈদ সেখান থেকে হাসানুরকে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলেন এবং হাসানুরের মা মিনা বেগমকে থানায় দেখা করতে বলেন। সাথে সাথে মিনা বেগম কোতয়ালি থানায় যান এবং তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে আসামি এসআই জামাল হোসেনকে অনুরোধ করেন। তখন এসআই জামাল হোসেন তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে বাড়ি গিয়ে ১ লাখ টাকা যোগাড় করে ফের থানায় এসে এসআই জামাল হোসেনকে দেন মিনা বেগম। কিন্তু তাতেও মন গলেনি এসআই জামাল হোসেনের। তিনি আরও ৪ লাখ টাকার জন্যে মিনা বেগমকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তখন মিনা বেগম বাকি ৪ লাখ টাকা এনে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ কারণে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন এসআই জামাল হোসেন। ওইদিন দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উল্লিখিত সকল আসামি ভুক্তভোগী হাসানুরকে থানা থেকে বের করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুরনো বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে হাসানুরে বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি করা হয়। এরপর তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে হাসানুরের বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এ কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন হাসানুর।

আরো সংবাদ