আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১০:১৬

যশোর সদররের কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ দখল।

যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদে অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যানেল চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ কায়েম সনদ ও জন্ম সনদপত্রসহ সরকারি ও বেসরকারি কাগজপত্রে সীল মোহর ব্যবহার করে স্বাক্ষর দিয়ে যা”েছন। গতকাল বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে এ সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরেন ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য ডাঃ মশিয়ার রহমান। তিনি বলেন, গত ২৩ সালের ৫ জানুয়ারি কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে নির্বাচিত মেম্বররা ২৭ ফেব্রæয়ারী শপথ গ্রহণ করেন। গত ৬ মার্চ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নব-নির্বাচিত পরিষদ গঠিত হওয়ার ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল চেয়ারম্যান গঠিত হয়। তা অগ্রাহ্য করে ইউ,পি সচিব রোজিনা খাতুন বিধি বহির্ভূতভাবে তিনজনের একটি প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এর মধ্যে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান
আব্দুল হান্নান (১) বলেন, জোর যার মুল্লুক তার, কি করবো জোর করে সহি নিয়েছে। ইউ,পি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান (২) আবু জাফর বলেন আমাকে জোর করে সহি দিতে বাধ্য করেছে। ইউ, পি সদস্য আসলাম হোসেন বলেন, সবাই সহি দিয়েছে আমিও দিছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউ,পি সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদনের কপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোনো কাগজপত্র নেই, সচিবের সাথে কথা বলেন। কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাপক বলেন, আমি মাঝে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। আমাকে ১০/১২ জন লোক বলেছে পরিষদে না যাওয়ার জন্য। মান সম্মানের ভয়ে পরিষদে য়াইনে। আজকের এ ঘটনা সম্বন্ধে আমি কিছুই জানিনা। এবিষয়ে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রোজিনা খাতুন বলেন, কথিপয় বিএনপি নেতা এগুলো করেছে। নির্বাহী অফিসার মহোদয় কোনো অনুমোদন দেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউ,পি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যব¯’া গ্রহণ করা হবে।

আরো সংবাদ