আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৪:১৭

যশোরে টিকটকার স্বামী স্ত্রীর একই সাথে আত্মহত্যা।

দু’জনই টিকটকার। টিক টকের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে গড়ায় প্রেমে। বিয়ের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পায় তাদের প্রেম। কিন্তু বছর পার না হতেই ভেঙে গেল সংসার। অবশেষে তারা দু’জনই বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।

তারা হলেন মাসুদ রানা (২২) ও জলি আক্তার ঐশী(৩০)। মাসুদ রানা যশোর সদরের বীরনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মাসুদ রানা গতকাল রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন ঢাকাতে। আর স্ত্রী জলি আক্তার ঐশী (৩০) সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে যশোরে নিজের ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেন। একই সাথে দু’মৃত্যুর কারণে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা লেবুতলা ইউনিয়নের বীরনারায়নপুর গ্রামের মাসুদ রানা ঢাকাতে একটি চাকরি করতো। পাশেপাশি তিনি একজন টিকটকারও। টিকটকের মাধ্যমে তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে একসময়ে পরিনয়। এরপর গত নভেম্বর ২০২৩ তারা দুইজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহর কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিভেদ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে গতকাল রাতে স্ত্রীর ঐশীর সাথে রানার ফোনে ঝগড়াঝাটি হয়। মান-অভিমান করে শনিবার মধ্যরাতে মাসুদ ঢাকার বাসায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

উল্লেখ্য, মাসুদ রানার সাথে বিবাহর আগে স্ত্রী জলি আক্তার ঐশির আরো এক জায়গায় বিবাহ হয়েছিলো। সেখানে তার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। জলি আক্তার ঐশি ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বেলতলা এলাকার মৃত মোস্তফা দেওয়ানের মেয়ে।

নিহতের চাচা হাসান বলেন, আমার ভাইপো জলি আক্তার ঐশীর সাথে প্রেম করে বিয়ে করার পরে আমরা জানতে পারি তার আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার ১৩ থেকে ১৪ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তাছাড়া সে দীর্ঘ দিন ধরে সৌদিতে ছিল। তার পরও আমার ভায়ের ছেলে এবং বউমাকে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু বউমা আবার বিদেশে যেতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে ছেলের সাথে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এসব বিষয়ে অভিমান করে ছেলে রোববার রাতে ঢাকার মিরপুরের বাসাতে আত্নহত্যা করেন। আমরা ঢাকায় বসে জানতে পারি বউমা বাড়ির আড়ায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

বিষয়টি নিয়ে যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অভিমান করে আত্নহত্যা করেছে। তবে অন্য কোন কারণ আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া জলিকে উদ্ধার করে ময়না তদান্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদান্তের রিপোর্ট পেলেই প্রকৃত তথ্য জানা যাবে বলে তিনি জানান।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত