আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:৫৫

নাশকতা অভিযোগে নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

যশোর চুকনগর সড়কের কানাইতলায় নাশকতা, মানুষ হত্যা করার চেষ্টা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করা ও বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে থানায় মামলা হয়েছে। রামনগর, নরেন্দ্রপুর, কাশিমপুর, বসুন্দিয়াসহ কয়েকটি এলাকার আওয়ামী লীগ ঘরানার ৫৬ নেতাকর্মীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যশোর জেলা শাখার সদস্য অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন মামলাটি করেছেন।
আসামিরা হলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রাজু (৪০), শাহারুল ইসলাম (৫৫), সোহেল রানা রানী (৩০), আলাউদ্দীন মুকুল (৫৪), টিপু (৪৫), টুটুল (৪৪), জুয়েল (৪৪), নাসির উদ্দীন (৪৫) পারভেজ (৪০), মোসলেম উদ্দীন (৬০), হাসানুজ্জামান হাসু (৫৪), ফসিয়ার রহমান (৫৪), মারুফ হাসান তরু (৪৫), ইব্রাহিম (৩৯), ওহেদুজ্জামান বাচ্চু (৫২), শাজাহান (৫৩), মিজান (৪৫), তাজমুল (৩৩), কামরুল (৩৮), বাপ্পী (৩২), শাওন হোসেন (৩৩), আজিম (২৭), আজিমুল (৩০), মিন্টু (৩২), ইমন (২৮), মুন্না (২৫), হাজী কাওছার (৫৬), রফিক মেম্বার (৫৫), তুহিন (৩২), হাফিজ (৪০), লিমন (৪৮), আলম (৪০), হোসেন কবীর (৩৪), চশমা সাগর (২৮), রিফাত হোসেন (২৬), খলিল (৪৮), বাবুল হোসেন (৪৮), আব্দুর রহিম (৪৫), পলাশ (৪৬), রহিম (৪৫), ফুলন (৪২), অপু (৩৮), পাপ্পু (৩৮), সিরাজুল (৪৫), সোহাগ (৫০), নাজমুল (৪৮), জাহিদ (৫২), রাজা (২৬), রকি (২৮), সাহেব আলী (৫০), কিরন (৩৫), হালিম (৫২), আবুল কালাম ব্যাটা (২৬), সবুজ হোসেন (২৭), রিপন হোসেন (২৫) ও আশরাফুল ইসলাম (২৮)।
এছাড়া সহযোগী হিসেবে অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, চাঁদাবাজি, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন প্রকার সরকার বিরোধী কর্মকান্ড করার অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন সংস্কার মূলক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করাসহ আগামির সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে ওই আসামিরা দেশিয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা হাতবোমা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ যশোর টু চুকনগর সড়কের কানাইতলা সালেহা মেটালের সামনে পাকা রাস্তার উপর সমাবেত হয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার প্রস্তুতি নেয়। এসময় এলাকার উত্তেজিত জনগন আসামিদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী ধাওয়া করে সবুজ হোসেন (২৭), রিপন হোসেন (২৫) ও আশরাফুল ইসলামকে (২৮) আটক করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ঘরানার ওই আসামিদের পক্ষে বলা হয়েছে এটা সাজানো মামলা। তারা কেউ ওই ঘটনাস্থলে যাননি। এমনকি ওই সব ঘটনায় কেউ জড়িতও নন। সাজানো মামলা, যা হয়ারনী করতেই করা হয়েছে।
এদিকে থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, মামলাটি রেকর্ড হয়েছে তদন্ত করেই। আসামিদের দ্রুতই আটকের আওতায় আনা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত