আজ - বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:৩৮

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা

জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে সেক্টরের জমি দখলের অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নড়াইল লোহাগড়ার চরশাল নগর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান মোল্যার ছেলে মহিউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আসাদ্জ্জুামান বাবুল।

আসামিরা হলো, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের  ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আয়ুব আলী, অফিস সহকারী ইদ্রিস আলী, যশোর নতুন উপশহর এলাকার মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, শিক্ষাবোর্ড এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ফজলে রাব্বি ও শার্শার শিববাস গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মুকতাদির হারুন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল লোহাগড়ার চরশাল নগর গ্রামের লুৎফর রহমান ১৯৭৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যশোর উপশহর হাউজিংয়ের ৭ নম্বর সেক্টরের এইচ-৫ নম্বর প্লটের ৮ দশমিক ২৬ শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করছিলেন। ২০০৭ সালের ১০ মে লুৎফর রহমানের মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশগণ এ জমির মালিকানা লাভ করেন। জমিটি পতিত থাকায় আসামি মুকতাদির হারুন জোর করে দখল করে নেয়। পরবর্তীতে লুৎফর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিন এ জমির দখলে গেলে মুকতাদির হারুন জানিয়ে দেন তার পিতা এ জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর আসামি মুকতদির হারুন আইনজীবী সমিতির নিচতলার ১২ নম্বর রুমে বসে একটি দলিলের ফটোকপি দেখান। যা তার পিতার মৃত্যুর ৪ মাস পর দলিল করা। দলিলে পিতার ঠিকানা ও জমির তফসিল ঠিক নেই। আসামি মুকতাদির হারুন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ যশোর অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার করে জালিয়াতি করে এ দলিল তৈরি করেছেন যা উপস্থিত সকলে বুঝতে পারেন। পরবর্তীতে জমির দখল নিতে গেলে খুন জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আসামি মুকতাদির হারুন বিগত সরকার দলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যবহার করে জমির দখল বজায় রেখেছিলেন। বর্তমানে পরিবেশে অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আরো সংবাদ