গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ভোর রাতে বাগআঁচড়ার ঘোষপাড়া মাঠের জমি থেকে এসব গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণত সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল গত ৫ আগষ্টের পর থেকে পলাতক আছেন। তিনি আওয়ামিলীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাপক অর্থসম্পাদের মালিক বনে যান। তার এই পালিয়ে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের নেতা কুদ্দুস আলী বিশ্বাসের নির্দেশে শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপন ও যুবদল নেতা মাসুদের নেতৃত্বে বাগআঁচড়া এলাকার আঃ মজিদের ছেলে তৌহিদ,সুরোত আলীর ছেলে উজ্জ্বল, নূর হোসেন ছেলে সবিনুর, রশিদ মোল্লার ছেলে সাগর,ইসমাইলের ছেলে রনি,আনারুল দর্জির ছেলে শাকিব,কাট জাহিদসহ অজ্ঞতনামা ২০/৩০ জনের একটি দল চাইনিজ কুড়াল ও বোমা নিয়ে মহড়া দিয়ে ঘোষপাড়ার মাঠে বকুল চেয়ারম্যানের দুই বিঘা জমি থেকে বড় সাইজের ২০ টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি আড়াল ও অন্যদিকে প্রভাবিত করতে যুবদল নেতা মাসুদের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাগআঁচড়া বাজারে দিনভর চাইনিজ কুড়াল বোমা নিয়ে মহড়া দেয় এবং বকুল চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ জানান, বকুল চেয়ারম্যানের কাছে তিনি ২০ লক্ষ টাকা পাবেন। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি তার গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে।কিছু টাকা আদায় করছেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির আব্বাস জানান-সাবেক চেয়ারম্যান বকুলের বাড়িতে হামলা হচ্ছে খবর জানার সাথে সাথে আমি বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জকেটিমসহ ওখানে পাঠায় এবং পরবর্তীতে আমিও ওই বাড়ি গিয়েছিলাম। তাদেরকে মামলা করতে বলে এসেছি। মামলা করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।