মণিরামপুরে পাইপ ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাইফুন্নাহার বাদী হয়ে বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীসহ উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম এবং ভাটবিলা এলাকার ইলিয়াস হোসেন ও উজ্জ্বল মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আটক ওই নারীর স্বামী শিল্পনগরী নওয়াপাড়া ভৈরব নদের ঘাটে কাজ করেন। সেই সুযোগে জহুরুল ওই নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া স্ত্রী সন্তান রেখে ওই নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন আটক শফিকুলও। এতে করে ওই নারীকে নিয়ে বিরোধ হয় জহুরুল ও শফিকুলের মধ্যে। সেই বিরোধের জেরে খুন হন জহুরুল। দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ভাটবিলা গ্রামে একটি রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এরপর বুধবার সকালে পুলিশ জহুরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জহুরুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
মামলার বাদী সাইফুন্নাহার বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা চত্বরে দৈনিক স্পন্দনকে জানান, শ্যামনগরে আমার বাবার বাড়ি। ওই গ্রামের এক নারীর সাথে আমার স্বামীর মোবাইলে কথা হতো। বিষয়টি জানতে পেরে আমি স্বামীকে আটকানোর চেষ্টা করেছি। ৮-১০ দিন আগে ওই নারী আমার স্বামীর মোবাইলে ফোন দেয়। তখন আমার স্বামী ফোনের পাশে না থাকায় আমার বড় মেয়ে ফোন ধরে। মেয়ের কণ্ঠ বুঝতে পেরে ওই নারী কথা না বলে ফোন কেটে দেয়।
জহুরুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক অমিত দাস বলেন, চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক নারীর সাথে জহুরুলসহ একাধিক পুরুষের পরকীয়া সম্পর্কের বিরোধে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে, দ্রুত মূল ঘটনা জানাতে পারব।