যশোরের মণিরামপুরে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মুল ঘটনা শ্বশুরের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পুত্রবধু জেসমিন আকতার জোসনাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় অভিমান করে পুত্রবধু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে রোববার গভীর রাতে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। সোমবার দুপুরে পুলিশ গৃহধূর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে ঘটনার পর থেকে শ্বশুর পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবদুল মোমিন দফাদারের ছেলে রায়হান হোসেন স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে পিতার সংসারে রখে গতবছর মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। কিছু দিন যেতে না যেতেই পুত্রবধুর উপর শ্বশুরের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। বিষয়টি জেসমিন তার স্বামীকে মোবাইলফোনের মাধ্যমে অবহিত করে। ফলে কয়েকমাস পরেই রায়হান মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি চলে আসেন। পরবর্তিতে রায়হান গোপালপুর বাজারে পার্টসের দোকান করেন।
রায়হান হোসেন জানান, রোববার দুপুরে রান্না করাকে কেন্দ্র করে তার বাবা-মায়ের সাথে স্ত্রী জেসমিনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বাবা-মা মিলে তার স্ত্রীকে মারপিট করে। এ ঘটনায় অভিমান করে গভীর রাতে সকলের অজান্তে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি দিয়ে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে থানায় বিকেলে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তুচ্ছ ঘটনায় শ্বশুর-মারপিটে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার করে। তবে জেসমিন নিহতের পর থেকে তার শ্বশুর আবদুল মোমিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।