মণিরামপুরের খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাবেয়া খাতুনকে খানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাবেয়া খাতুন উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) এর সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। গত ৩ মার্চ ভরতপুর উত্তপাড়ায় টিসিবি’র খাদ্য সামগ্রী বিতরণের তালিকাকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাবেয়া খাতুনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলামের। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সামনে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাবেয়া খাতুনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা গত ৬ মার্চ খানপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয় যে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ইউপি সদস্যসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। এরপর অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ভূক্তভোগীসহ অভিযোগকারীদের বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভাই আমি দেখা করবানে, মানবিক কারণে আমার দিকে একটু খেয়াল করেন। ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম বলেন, অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, নারী ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করা এটা খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত শরিফুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও’র দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনা করে ইউপি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্নার কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।