যশোরের মনিরামপুরে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় দাদা লুৎফর রহমানকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়া হয়। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। তারা দুই ভাইবোন। ৩ বছর আগে তাদের ফেলে মা যান। মাসখানেক আগে দাদা একবার শিশুটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছে শিশুটি। এ ছাড়া একাধিকবার তিনি শিশুটির স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর পারিবারিকভাবে লুৎফর রহমানকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন।
ওসি বলেন, গত রোববার শিশুটির নানি তাঁদের দেখতে আসেন। ওই সময় শিশুটি দাদার বাড়িতে থাকতে আপত্তি তুলে নানির সঙ্গে চলে যেতে চায়। নানি কারণ জানতে চাইলে সে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া দাদার কথা জানান।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল থেকে ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে সোমবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে লুৎফর রহমানকে আটক করে শিশুটিকে হেফাজতে নেয়।
ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, রাতেই শিশুটির চাচাতো নানি বাদী হয়ে দাদা লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।