আজ - বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ২:৫৯

খেলতে যেয়ে পুকুরে ডুবে প্রান গেলো দুই শিশুর।

ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই শিশু বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। আজ বুধবার সকালে বাসার অদূরে একটি পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখেন পথচারীরা। খবর পেয়ে স্বজনেরা শিশু দুটিকে শনাক্ত করেন। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

লাশ উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর নাম লিমন হোসেন (১০) ও মানিক হোসেন (৮)। লিমন পাবনার আমিনপুর থানার রতন মিয়ার ছেলে এবং মানিক জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জিয়াউল হোসেনের ছেলে। তারা আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত।

দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফেরে লিমন হোসেন ও মানিক হোসেন। দুপুরের পর বিভিন্ন সময়ে তারা বাসা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা ও আড্ডা দিতে বের হয়। রাতে বের হয়ে রাত নয়টার পর বাসায় না ফেরায় তাদের খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ ভোরে পথচারীরা আশুলিয়ার বাইপাইলের শান্তিনগর এলাকায় একটি পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ দুটি শনাক্ত করেন। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে তারা।
লিমনের চাচা মো. নাজমুল হুদা বলেন, লিমন ও মানিক একই মাদ্রাসায় পড়ত। বাসায় এসে দুজনে একসঙ্গেই খেলাধুলা করত। গতকাল দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাসায় এসে খাওয়াদাওয়া করে। রাত নয়টার দিকে লিমনের খালা লিমনকে মগ হাতে বাসার সামনে দেখতে পান। কেউ একজন তাকে চা আনতে পাঠিয়েছিল। এর পর থেকে লিমনকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে জানতে পারেন, পুকুরে লিমন ও মানিকের লাশ পাওয়া গেছে।

মানিকের চাচাতো বোন জেমি আক্তার বলেন, রাত নয়টার পর থেকে মানিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর জন্য বাসা থেকে বের হলে এক ব্যক্তি জানান, জামগড়া থেকে বাইপাইল সড়কে দুই শিশুকে খেলতে দেখেছেন তিনি। পরে মানিকের স্বজনেরা সেখানে গিয়ে কাউকে না পেয়ে বাসায় ফিরে আসেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় মানুষের থেকে খবর পেয়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে জন্য লাশ দুটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিশু দুটির পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত