ওয়ালিউল হাসনাত : যশোর সদর এবং ঝিকরগাছা উপজেলার পল্লীতে পৃথক দুটি “ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধে” চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের কারো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদের বয়স ২৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
শনিবার ভোররাতে যশোর সদরের নোঙরপুর মাজারের পাশে এবং ঝিকরগাছার চাপাতলা এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে নিহতদের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভোর পাঁচটার দিকে প্রথমে ঝিকরগাছা পুলিশ ২৮ বছর বয়সী দুই যুবকের মরদেহ হাসপতালে আনে। এদের মধ্যে একজনের পরনে কালো জিন্সের প্যান্ট ও সোয়েটার এবং অপরজনের পরনে গেঞ্জি ও থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ছিল। দুইজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের মাথার খুলির একটি অংশ নেই। ঝিকরগাছা থানার ডিউটি অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম খানজাহান আলী24.com কে জানিয়েছেন, শুক্রবার গভিররাতে তাদের কাছে খবর আসে, চাপাতলা বাজারে ডাকাতি হচ্ছে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ছাড়াও একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং তিনটি গাছিদা উদ্ধার করে। পুলিশ বলছে, ডাকাতির মাল ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে দুইপক্ষের গোলাগুলিতে এই দুইজন মারা যেতে পারে। পুলিশ তাদের পরিচয় পায়নি।
অপরদিকে, যশোর কোতয়ালী থানার ডিউটি অফিসার কাইয়ুম মুন্সি খানজাহান আলী24.comকে বলেন, ‘গভিররাতে আমরা খবর পাই, যশোর-মাগুরা সড়কের নোঙরপুর মাজারের পাশে দুই দল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে।’খানজাহান আলী 24.comকে আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি ওয়ান শুটারগান, দুটি গুলি, পাঁচটি কার্তুজ, আট জোড়া স্যান্ডেল, দুই জোড়া কানের দুল এবং একটি সোনার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এই দুইজনের একজনের জিন্স ও হাফহাতা গেঞ্জি এবং অপরজনের ব্লেজার ও কালো প্যান্ট পরা ছিল। এদের বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন খানজাহান আলী 24.com কে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।