কিন্তু ঘটনা ঠিক তার উল্টো। খুনি বিউটি হত্যা মামলার প্রধান আসামী নয় বরং তাকে হত্যা করেছে মামলার বাদী তার বাবা। শনিবার বিকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার।
এদিকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন ছায়েদ আলী। তবে জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন তদন্তের স্বার্থে সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি পুলিশ। তবে জেলা পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘বাবার উপস্থিতিতে হবিগঞ্জে আলোচিত বিউটিকে হত্যা করেছে ময়না মিয়া ও এক ভাড়াটে খুনি।’
এর আগে শুক্রবার বিকেলে বিউটি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একই আদলতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক আসামি ময়না মিয়া। জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডে কারা জড়তি ছিলো, কি দিয়ে এবং কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, কেনো হত্যা করা হয়েছে-এসব তথ্য দিয়েছেন তিনি।
তবে বিউটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এঘটনায় গ্রেফতার বাবুল মিয়া। ধর্ষণ করলেও সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন বলে দাবি করেন। শুক্রবার বাবুলের মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে দুইদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গেলো ১৭ মার্চ সকালে বাড়ির পাশের জমি থেকে বিউটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানায় প্রতিবেশি বাবুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে মামলা করে পরিবার। এই মামলার বাদি ছিলেন বিউটির হত্যাকারী তাঁর নিজের বাবা ছায়েদ আলী।
মামলা করে বিউটির বাবা সায়েদ আলী কান্না জড়িতকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘লম্পট বাবুল শুধু আমার মেয়ে নয়, এলাকার অনেক মেয়ের লাঞ্ছনা ও সর্বনাশ করেছে। অভিযোগ করলে সে ও তার আত্মীয় স্বজন হুমকি ধমকি দেয়।’