রাবি প্রতিনিধি: সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিল ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন জোটের নেতাকর্মীরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফিদেল মনির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক তারেক কর্ণেল, ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য শাকিলা খাতুন, ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতি ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন এবং ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সজিব ওয়াফি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আচরণ হতে পারে না। অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা মারধর করছে, যা হিটলারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
আরও বলেন, দেশে এখন পাশবিকতা, বর্বরতা ও স্বৈরাচারের শাসন চলছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে কথা বলার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক বলেও উল্লেখ করেন তারা।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন এই আন্দোলন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ার আবারও আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।