বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ বিদেশী মদ সহ দু জনকে গ্রেফতার করে ৭০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে একজনকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।অপরজনকে আইনের ৩৪ ধারা মোতাবেক আদালতে চালান দেয়া হয়ছে বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় একজন আরেকজনকে দুষছে।নির্ভরযোগ্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার ৩১ আগস্ট রাত ৮ টায় যশোর উপশহরে ই ব্লকের মৃত কাবিল উদ্দিনের ছেলে রনি ও একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে তরিকুল ইসলাম রয়েল যশোর শহর থেকে বিদেশি মদ ক্রয় করে রিকসা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।তারা রাত ৮ টায় উপশহর খাজুরা বাসস্টান্ড এলাকায় পৌছালে কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই ওয়াসিম আকরামসহ দুজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদেরকে দেখে সন্দেহ হলে রিকসা থামানোর জন্য সংকেত দেন।রিকসায় যাত্রী তরিকুল ইসলাম রয়েল রিকসা থেকে লাফিয়ে পড়ে দৌড়ে পালাবার চেস্টা করে।পুলিশ দৌড়ে রয়েলকে ধরে ফেলে।রিকসায় থাকা রনিকেও ধরে তার দখল হতে এক বতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।রনি ও রয়েলকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় রনি আগামী ২ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে যাবে।এই কথা শুনে পুলিশ রনির মোবাইল দিয়ে রনির বড় ভাবির সাথে কথা বলে ২ লক্ষ্য টাকা দাবি করে নয়তো ইয়াবা মামলায় চালান দিবে।পুলিশের দাবির প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে রনি ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজী হয়।এর পর রনিকে ঘটনার রাতে ১০টায় থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এ সময় রয়েলকে ছাড়ানোর জন্য তার পিতা কাপড় ব্যবসায়ী আজিজের সাথে দর কষাকষি চলে এএস আই ওয়াসিমের সাথে এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়।তবে রয়েলকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে না ছেড়ে ৩৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ও পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সোচ্চার সেখানে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এ এসআই ওয়াসিম আকরাম সহ একদল পুলিশ মাদকসহ আটক ব্যক্তিকে থানা থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ায় মাদকের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সামিল বলে মনে করেন অনেকে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ওয়াসিম বলে ওসি সাহেব ছেড়ে দিতে বলেছেন।আবার তিনি বলেন তিনি নন থানার এসআই কামাল হোসেন তাদেরকে গ্রেফতার পুর্বক ছেড়ে দিয়েছেন।এভাবে একজন আরেকজনকে দুসছেন।এ ব্যাপারে রয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন আমাকে ২০হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছেন।এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাইনা।