>> আহত সাহেব আলী নিজেও জুয়েল গ্রুপের সদস্য । হামলার সময় ছাত্ররা আত্মরক্ষার্থে অধ্যক্ষের রুমে দরজা জানালা বন্ধ করে পালালে , জানালার গ্লাস ভেঙ্গে তাদের পুণরায় হামলা করতে গিয়ে হাত কেঁটে যায় সাহেব আলীর।
> প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান সাবেক জেলা ছাত্রলীগনেতা কাজী তৌহিদুর রহমান জুয়েল নিজ হাতে অস্ত্রের বাট দিয়ে পলাশের মাথায় আঘাত করে।
>> যশোর পলিটেকনিকের প্রশাসনিক ভবনের সামনের দুটি সিসি ক্যামেরাই নষ্ট দাবি অধ্যক্ষের।
কলেজ প্রতিবেদক: যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের সঙ্গে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী তৌহিদুর রহমান জুয়েল গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে যশোর পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি সহ আহত অন্তত ১০/১২ জন। তিনজনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হাসপাতালে ভর্তিকৃত একজন বহিরাগতও (সাহেব আলী) রয়েছে ।অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নারী ঘটিত একটি ইস্যুতে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।তবে এ ঘটনা সংঘর্ষ নয় পরিকল্পিত হামলা বলছেন সাধারন শীক্ষার্থীদের আরেকাংশ। নারী ঘটিত ব্যাপার হলে সেই নারীটি কই প্রশ্ন তাদের।
এদিকে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ আলী পলাশ জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে শহীদ মিনারের উপরে বসে বহিরাগত জনৈক কালা আরিফ ৫-৭ জনকে নিয়ে সিগারেট খাচ্ছিল, নেশা করছিল। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তাদের বাইরে যেতে বলেন এবং ক্লাস চলাকালে ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করেন। তখন জুয়েল,বক্কার, কালা আরিফ, মাইমুন,রাহুল, টিপু সহ কয়েকজন তার ওপরে চড়াও হয়। এরপর ছাত্ররা ক্যাম্পাস থেকে ধাওয়া করে কালা আরিফসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বের করে দেয়।
পলাশ আরো জানান, ঘণ্টা দুয়েক পর কালা আরিফের নেতেৃত্বে ২০-৩০ জন ক্যাম্পাসে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সংগঠনের সভাপতি শাহেদ আলী পলাশ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পারভেজ, ছাত্র মঞ্জুরুল ইসলাম মুগ্ধ, মাহবুবুর রহমান জনি, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ, সাহেব আলী (হামলা কারী ) সহ ১২ জন কমবেশি আহত হন। চিকিৎসক বজলুর রশিদ বলেন, আহতদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ও সাহেব আলীর হাতের শিরা ও টেন্ডুল সামান্য কেটে গেছে। অপারেশন চলছে। অন্যদের আঘাত গুরুতর নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোমেল হোসেন বলেন, জুয়েল গ্রুপের উঠতি সন্ত্রাসীরা সবসময় ক্যাম্পাসের আশপাশে ছুরিচাকু নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ,মেয়েদের ইভটিজিং করে, মাদকদ্রব্য বিকিকিনি,ছিনতাই যার মধ্যে একাধিক হত্যা মামলার আসামি কালা আরিফ ও টিপু অন্যতম।পলাশদের উপর আক্রমন উদ্দেশ্য প্রণদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।