জয়নুল হক: বিলুপ্তির প্রায় দুইশো বছর পর আবারও ফিরে এসেছে বাংলার ঐতিহ্য মসলিন। আবারও বাংলার হারিয়ে যাওয়া মসলিন বুনতে শুরু করেছেন বাঙলার তাঁতীরা। সরকারও নতুন করে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই।
সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে গৃহীত ‘২০০ বছরের ঐতিহ্য নতুন করে ফিরিয়ে আনার প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
তারই নমুনাস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৭০ গ্রাম ওজনের তাতীঁদের বোনা একটি মসলিন শাড়ি; যার ওজন মাত্র ১৭০ গ্রাম।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ি তুলে দেয়া হয়।
৩০০ কাউন্ট সুতায় বানানো শাড়িটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতায় দেশের ৫৬ জেলায় ৩২১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। যার মধ্যে ২৯৭ উন্নয়নকাজের উদ্বোধন এবং ২৪টি উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
কথিত আছে, একটি মসলিন শাড়িকে দিয়াশলাইয়ের বাক্সে রাখা সম্ভব ছিল। মসলিন বিলুপ্ত হয়েছে বহু বছর আগে। তবে এখনো টিকে আছে এর একটি ‘প্রকার’ ঢাকাই জামদানি হিসেবে।
বিশেষ এক প্রকার তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুতকৃত সূতা দিয়ে বয়ন করে তৈরি হতো মসলিন শাড়ি। চড়কা দিয়ে কাটা, হাতে বোনা মসলিনের জন্য সর্বনিম্ন ৩০০ কাউন্টের সূতা ব্যবহার করা হতো; যার ফলে মসলিন হতো কাচের মতো স্বচ্ছ। এই মসলিন রাজকীয় পোশাক নির্মাণেও ব্যবহার করা হতো।
কিন্তু নানা কারণে আঠারো শতকের শেষার্ধে বাংলায় মসলিন বয়ন বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেই ঐতিহ্যকে আবারও ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে সরকার।