আজ মঙ্গলবার বাদ আসর যশোরের ধর্মতলা মোড়ে শিশু তিশার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ী নড়াইলের ভাটগ্রামে। সেখানে এশা বাদ দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবে ছোট্ট শিশু তিশা।
ধর্মতলায় তিশার ১ম জানাজা।
তিশা হত্যার প্রতিবাদে ধর্মতলায় মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা প্রায় দেড় ঘন্টা তাঁরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। মানববন্ধন থেকে তিশার হত্যাকারী নরপিশাচ শামিম কে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ক্রসফায়ারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে রাস্তা ছাঁড়েন মানববন্ধন কারীরা।
মানববন্ধন।
তিশার ময়নাতদন্তে ধর্ষনের আলামত মিলেছে এবং যে লুঙ্গি ছিড়ে তিশার হাত পা বেঁধে হত্যা করা হয়েছিলো সেই লুঙ্গির বাকী অংশ উদ্ধার করে নিশ্চিত হওয়া গেছে লুঙ্গিটি ধর্ষক ও হত্যাকারী নরপিশাচ শামিমের। শামিমের বিরূদ্ধে ইতিপূর্বে যৌন হয়রানি, অস্ত্র, মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম পুলিশের বরাত দিয়ে বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ওসি সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। যে কোন সময় ঘাতক শামিম কে আটক করা হবে। শামিম ইতিমধ্যে পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। তাঁর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা থাকলে তাঁদের অবস্থান কোথায় সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শাহারুল ইসলাম আরোও বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমিও আমার জনগণের সাথে সহমত পোষণ করে বলতে চাই। ইসলামি শরিয়া মোতাবেক তাঁর বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। আমি চাই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক।