যেকোন অনিয়ম দেখলেই তা নিউজ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নিউজ হলে আমরা অনেক সহায়ক কাজ করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের অনিয়মের নিউজ যে পত্রিকায় হবে সেই পত্রিকা যদি একেবারে চিপাগলির পত্রিকা হয়, সেটাও আমার সামনে নিয়ে আসবেন। আমি ব্যবস্থা নেব।
শুক্রবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য প্রেস’-এর অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপূর্তমন্ত্রী।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, অ্যাকশন নেওয়ার জন্য খবর তো পাওয়া দরকার। অনেকে বলেন, ভাই আমার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা নিউজ যেন না হয়। কিন্তু আমি বলি ভিন্ন কথা। খবর না পেলে কাজ করব কী করে? সাংবাদিকদের কাছে আশা করি, মিথ্যা তথ্যভিত্তিক নিউজ করে কাউকে হিউমিলিয়েট করা না হোক। অন্যায়, অপরাধ ও দুর্নিীতি যদি আমি করি, আমার মন্ত্রণালয়ের সচিব করে বা আমার দফতরের কেউ করে সেটার নিউজ হওয়া উচিত।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৪টা টিমে তদন্ত করে রাজউকে ১৮১৮টা বাড়িতে অনিয়ম পেয়েছি। এসবের অনেক বাড়ির মালিক ক্ষমতায়, রাজনীতিতে, অর্থে প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদের সম্পর্কে রিপোর্ট করা হবে, অনেকেই ভাবেন নাই। কারণ তারা অনেক ‘পাওয়ারফুল’। আমি রাজউককে নির্দেশ দিয়েছি একটা বাড়িও ড্রপ হবে না। শুধু মাত্র পত্রিকার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ১২টি তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত টেলিফোন পাই , অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ পাই। সেটাকে আমি হুমকি বলবো না। আমি তাদের বলি আমাকে এসব বলে লাভ হবে না।
বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না এটা সরকারের অঙ্গীকার। মানুষের মৌলিক অধিকার আবাসস্থল। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বাসস্থানটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। সবার জন্য আবাসনকে নিশ্চিত করে নগরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা চাই অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশে আধুনিক সমৃদ্ধ আবাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে।
স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশসম্মত, ঝুঁকিমুক্ত মহানগর, নগর ও গ্রামের আবাসন ব্যবস্থা এ মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন।