আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৩:৩২

কাশিমপুর ইউপি আ’লীগ কাউন্সিল ইস্যু : সাধারন সম্পাদক হতে চান শরিফুল ইসলাম।

মুনতাসির মামুন, জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক : যশোর সদর উপজেলার ৬ নং কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য  শরিফুল ইসলাম বলেছেন মানুষের দোয়া ভালবাসা“ই” আমার শক্তি ও প্রেরণার মূল উৎস। বৃহস্পতিবার খানজাহান আলী 24/7 নিউজ কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

শরিফুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে যশোরের রাজনীতিতে আমার পথচলা শুরু। সেই থেকে আজ পর্যন্ত  দীর্ঘ  এই পথ চলার মাঝে পদে পদে  নির্যাতন  হয়রানির শিকার হয়েছি বারবার। তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত হইনি কখোনো। বিগত ২৪ বছর ধরে আমি ৬ নং কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এবং অত্র ইউনিয়নের সুলতান দফাদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই বার প্রতক্ষ্য ভোটে  নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সু নামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছি।

১৯৯৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকা কালে যশোরের সাত মাইল বাজারে সমাবেশ করেছিলেন আমি সেদিন তাঁর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছিলাম তিঁনি আমাকে দোয়া করে দিয়েছিলেন।  

শরিফুল ইসলাম আরোও ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে তৎকালীন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মরহুম শরীফ আব্দুর রাকিবের উপর আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলনের সাথে যুক্ত, ত্যাগি ও নির্যাতিত কর্মীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর দ্বায়িত্ব অর্পণ করা হয় সে সময় তিনি আমার নামটিও সংযুক্ত করে কর্মীদের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করেছিলেন। আমি তখন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোঃ নাসিম স্বাক্ষরিত ত্রাণ তহবিল থেকে আমি কিছু অর্থ সহায়তা পাই। শুধুই যে নির্যাতন জেল জুলুম হয়রানির শিকার হয়েছি  এমনটি নই মানুষের অফুরন্ত ভালবাসাও পেয়েছি।

তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে একপর্যায়ে বলেন , বিএনপি জামায়াত জোটের সকল জালাও পোড়াও আন্দোলন রুখে দিতে রাজপথে ছিলাম। আমার নেতা শাহীন চাকলাদারের নির্দেশনায়  এক এগার সহ আওয়ামিলীগের ক্রান্তিলগ্ন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে সবথেকে বেশি সংযোগ রেখে চলছি। এবং আন্তরিকতায় সুবিধা অসুবিধায় বিপদে আপদে আমি দলের নেতাকর্মীদের পাশে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ছিলাম আছি ভবিষ্যতেও থাকবো।

শরিফুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আগামী কাউন্সিল অধিবেশনে আমি অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী। আমি বিশ্বাস করি আগামী কাউন্সিল অধিবেশনে আমি সাধারন সম্পাদক  সম্পাদক হতে পারবো। মানুষের দোয়া ভালবাসা“ই” আমার শক্তি ও প্রেরণার মূল উৎস।

আমাদের সকলের স্বপ্নের কাশিমপুর ইউনিয়ন  সকল শেণ্রী পেশার মানুষের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধশালী ইউনিয়নে রুপান্তরিত করতে চাই। আমি ছাত্র সমাজ, যুব সমাজের সকল যৌক্তিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে প্রায় চারযুগ ধরে গন মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতা পেলে আমি বিজয়ী হবো। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যেসব অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি ও আগামীতে করে যাবো।

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন শরিফুল ইসলাম। বিগত ৩০ বছর আগে যশোরে সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের নওদাগাঁ গ্রামে বসবাস শুরু করে  সরাসরি যশোরের রাজনীতিতে আরোও সক্রিয় হন শরিফুল। সাতমাইল বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একটি ও নিজ বাসভবন নওদাগাঁ গ্রামে একটি মোট দুটি দলীয় কার্যালয়  থেকে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সেবা দিয়ে আসছেন তিনি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত