করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন। বার বার সতর্ক করার পরও সচেতনতা ও অলসতার কারণে মাস্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকছে এক শ্রেণির মানুষ।
স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারে সরকারি নিদের্শনা বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। করা হচ্ছে জরিমানা, দেয়া হচ্ছে জেল। জনসচেতনতা বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া সেবা না দেওয়ার জন্য স্ব স্ব দপ্তরে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ লেখা প্যানা টানানো হয়েছে। পালন করা হয়েছে প্রতিকি অবস্থান কর্মসূচি।
অথচ সেইসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশগুলোতেই প্যানার মধ্যে সীমাবদ্ধতা দেখা গেছে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’। সরেজমিনে অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসহ নওয়াপাড়া বাজার এবং বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি দপ্তর ছাড়া বেশিভাগ দপ্তরে মানা হচ্ছেনা ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’।
অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মাস্ক নাই। মাস্ক ছাড়া দেওয়া হচ্ছে সেবা। আবার অনেক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পকেটে বা মুখের নিচের অংশে মাস্ক আটকে রেখেছেন। অপরদিকে কয়েকটি দপ্তরে দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র, যাদের মুখে মাস্ক নাই তাদেরকে মাস্ক পরিয়ে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এছাড়া নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চলচলকারী জনগণ ও অভ্যন্তরীন যানবাহনে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। নওয়াপাড়া পৌর এলাকার ওয়ার্ড এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামিণ জনপদে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এর গুরুত্ব চোঁখে পড়েনি।
অনেক সময় প্রশাসনের গাড়ী বা ব্যক্তি বিশেষ দেখলে জেল-জরিমানার ভয়ে দ্রুত পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরিধান করতে দেখা গেছে। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে যাচ্ছে অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌরবাসী।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত জানান, পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজেদের মাস্ক ব্যবহার ও সেবা প্রদানকালে মাস্ক ছাড়া সেবাদান না দিতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহমুদুর রহমান রিজভী বলেন, মাস্ক নেই তো সেবা বন্ধ। উপজেলার মধ্যে সব থেকে বড় প্যানা টানানো হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
অতএব ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এর বিষয়টি এখানে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক না থাকা হত দরিদ্রদের বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণপূর্বক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার অফিসে মাস্ক ছাড়া কাওকে পেলে প্রথমে জরিমানা পরে মাস্ক পরিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সতর্ক আছে।