আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:৫৩

খলঅভিনেতা খলিলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশীয় চলচ্চিত্রের শক্তিমান খলঅভিনেতা খলিল উল্লাহ খান। বড় পর্দার দর্শকদের কাছে তিনি একজন রাগী ও খারাপ মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ভরাট গলায় তার ডায়লগ মুহূর্তেই ভয় পাইয়ে দিতো যে কাউকে। সাবলীল অভিনয়ের জন্য নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।আজ শুক্রবার খলিল উল্লাহ খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন খলিল উল্লাহ।১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় আটশ ছবিতে অভিনয় করেছেন খলিল।তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’ ও ‘কাজল’। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ছবিতে মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।খলিল উল্লাহ খানের বড় ছেলে মুসা বলেন, নূরজাহান রোডে বাবা যে বাসায় থাকতেন, এখানেই পাশের মসজিদে শুক্রবার বাদ আসর পারিবারিক ভাবে মিলাদের আয়োজন করা হয়।এই অভিনেতার পরিবারের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুসা বলেন, আমার মা বেঁচে আছেন। তার বয়স ৭৬ বছর। আর একটা ছোট ভাই আছে।খলিল উল্লাহ খান অভিনয়ের বাইরে একজন ভালো সংগঠক ছিলেন। তিনি দুইবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।এদিকে আগামীকাল শনিবার এফডিসির শিল্পী সমিতিতে এই অভিনেতার উদ্দেশে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

আরো সংবাদ