আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:৩৫

চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছে যশোর

যশোর জেলায় এমন কোনো এলাকা নেই, সেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাইনি। জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের ৯ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহকের ২৬৩ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ প্রতিদিন সরবারহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কোনো লোডশেডিং নেই। বরং নতুন গ্রাহকরা চাইলেই পাবে বিদ্যুৎ। এছাড়াও শহরাঞ্চলে প্রিপ্রেমেন্ট মিটার স্থাপনের ফলে বিদ্যুতের অপচয় কমে গেছে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ এত বেশি উৎপাদন হচ্ছে যে কোনো ঘাটতি থাকছে না। সরবরহের পরে আরো বেশি উদ্বৃত্ত থাকছে। যশোরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন লিমিটেডের আওতায় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ ও বিতরণ বিভাগ-২ এ গ্রাহক রয়েছে ৯২ হাজার। তাদের দৈনিক চাহিদা ৬৩ মেগাওয়ার্ট। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতায় সুজলপুর, এয়ারপোর্ট, আরবপুর রাজারহাট, রামনগর, মুড়লি, চিত্রার মোড়, ডিসি অফিস এলাকায় গ্রাহক রয়েছে ৪৬ হাজার গ্রাহক। এসব গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়ার্ট। কোনো কোনো দিন এ চাহিদা কমে ২০ মেগাওয়ার্টে নেমে আসে। কোন ঘাটতি নেই। এ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যুতের বেশি উৎপাদন হচ্ছে। গ্রাহকের চাহিদা শতভাগ পুরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুতের লোডশেডিং কি সেটা ভুলে গেছে গ্রাহকরা। তবে বর্তমানে প্রিপ্রেমেন্ট মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য খুবই ভাল হয়েছে। বিদ্যুতের অপচয় কমে গেছে। এ মিটারে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ উপশহর, বিরামপুর, ঘোপ, কাজীপাড়া, বারান্দীপাড়া, মোল্ল্যাপাড়া, লোন অফিসপাড়া, বড়বাজার, মনিহার, বিসিক, ঝুমঝুমপুর এলাকায় গ্রাহক রয়েছে ৪৬ হাজার । তাদের বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫ মেগাওয়ার্ট। এসব এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা শতভাগ পুরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করীম। তিনি বলেন বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। বড় ধরনের কোনো ঘটনা ছাড়া বিদ্যুৎ বন্ধ হয় না।
এদিকে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর আওতায় সদর, শার্শা, ঝিকরগাছা,বাঘারপাড়া ও চৌগাছা উপজেলায় গ্রহাক ৫ লাখ ৪৫৫ জন। গরম কালে তাদের চাহিদা ১৩০ মেগাওয়ার্ট ও শীতকালে ৮১ মেগাওয়ার্ট। বর্তমানে তারাও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এ শাখার এজিএম কাজী রমজান আলী জানান, পাঁচ উপজেলার প্রতিটি ঘরে এখন বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে বিদ্যুতের আলো নেই।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ আওতায় অভয়নগর, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। শীতকালে তিন উপজেলার গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা ৭০ মেগাওয়ার্ট। গরমকালে বেশি। বর্তমানের গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা শতভাগ পুরণ করা হচ্ছে বলে জানান, এ শাখার ডিজিএম (টেকনিক্যাল) মোকসেদুল মোমিন।

সূত্র – স্পন্দন

আরো সংবাদ