আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:১৯

তৃতীয় শক্তিতে যোগ দিতে যাওয়া ব্যক্তির নামের তালিকা শেখ হাসিনার হাতে

আওয়ামী ঘরানার বেশকিছু পরিত্যক্ত সাবেক ও নিস্ক্রিয় নেতাকর্মীরা তৃতীয় শক্তিতে যোগ দিতে পারেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব টিম এরকম শতাধিক ব্যক্তির একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামে বেশকিছু সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার যোগদানের সম্ভাবনার কথা বলেছে।

জাতির পিতার মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম। ২০০৮ এও তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন। বর্তমানে নিস্ক্রিয়। তিনি এবং তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর নতুন জোটে যোগ দিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করা বর্তমান এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের ব্যাপারেও সন্দেহ করা হচ্ছে। ৯৬ এর সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এর সঙ্গেও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টুর যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। তিনি পাবনার একটি আসনে ২০০৮ এ মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ইতিমধ্যেই গণফোরামের ঐক্যপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। পটুয়াখালীর একটি আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে চমকে দিয়েছিলেন গোলাম মাওলা রনি। ২০১৪তে তাকে আর মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এখন টকশো আর লেখালেখির জন্য পরিচিত। আওয়ামী লীগের কাছে খবর আছে, রনিও নতুন দলের কাংখিত নাম। মানিকগঞ্জের একটি আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক ফুটবলার টুটুল ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেতে পারেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মান্নানের নামও রয়েছে দলছুটদের তালিকায়। ওয়ান ইলেভেনে সংস্কারপন্থী হবার আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন ছিলেন মুকুল বোস। এখন তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। দলছুট হিসেবে তাঁর নামও রাজনৈতিক আড্ডায় আলোচিত হচ্ছে।

এছাড়াও, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না, এরকম অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যোগাযোগ রাখছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরা নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় আবার সরব হয়েছেন। এদের অনেকেই এলাকায় বলেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবো।

গতকাল আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ রকম পরিস্থিতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আকস্মিক সফরের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

একই সাথে নির্বাচনের আগে কোন কমিটি পরিবর্তন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ‘ড: কামাল হোসেন এবং মোস্তফা মোহসীন মন্টু দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। কাজেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে তাদের যোগাযোগ থাকতেই পারে। যোগাযোগ আর নতুন দলে যোগদান এক বিষয় নয়।’

আরো সংবাদ