ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এবং মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. আলাউল ইসলাম এই কারাদণ্ড দেন।
এর আগে, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান খানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই কারাখানায় অভিযান চালায়।
শেখ মো. আলাউল ইসলাম জানান, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে শাহীন মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দেশী-বিদেশী মোড়কে ৫ প্রকারের ভেজাল মেহেদী ও দুই প্রকারের ফেয়ারনেস ক্রিম তৈরি করে সেগুলো ঢাকার চকবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রস্তুতকৃত বিপুল পরিমাণ নকল মেহেদী ও ক্রিম জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, সরকারি অনুমোদন কিংবা বিএসটিআই ও আইএসও সনদ ছাড়াই ওই কারখানাটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। এখানে প্রস্তুতকৃত মেহেদীগুলোর মোড়কে লেখা আছে রাখি বন্ধন, বকুল কথা, নেহা, উৎসব, সাত ভাই চম্পা ইত্যাদি ব্র্যান্ডের নাম। এছাড়া এখানে চীনা কোম্পানির মোড়কে দুই প্রকারের ফেয়ারনেস ক্রিম প্রস্তুত হয়। এখানে প্রস্তুতকৃত পণ্যগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন মাহমুদ জানান, তিনি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে মেহেদী ও ক্রিম তৈরি করে বাজারজাত করছেন। বিএসটিআই এর অনুমোদন প্রয়োজন পড়ে না এবং আইএসও সনদ পেতে ৪-৫ বছর সময় লাগে। এ কারণে তিনি এখন কাগজপত্র তৈরি করতে পারেননি।