আজ - মঙ্গলবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ৪:৪৪

ভাইরাল ঝুঁকিতে সামাজিক মর্যাদাবোধ, আইন প্রণয়নের তাগিদ

সাগর জাহান, ঢাকা: ধীরে ধীরে নিরাপত্তা হারাচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য। ঝুঁকিতে পড়ছে সামাজিক মর্যাদাবোধ। এক্ষেত্রে বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। একটুখানি ভাইরাল হওয়ার নেশায় অন্যের গোপনীয়তায় আঘাত হানতে দ্বিধা করছে না অনেকেই। এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক প্রযুক্তি ও রাষ্ট্রের আইনি কাঠামো সঠিকভাবে গড়ে না ওঠাকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

রাজধানীতে ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ভিডিও এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কারও স্বাভাবিক মৃত্যুর দৃশ্যও ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু ভাবা হচ্ছে এর নেতিবাচক দিকটিও।
অনুমতির তোয়াক্কা না করেই যে যার ইচ্ছে মত তুলছে অন্যের ছবি আবার করছে ভিডিও। আর তা একের পর এক শেয়ার হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে দিনে দিনে অনিরাপদ হয়ে উঠছে ব্যক্তিগত তথ্য।

প্রশ্ন উঠছে, ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রের আইনি কাঠামো কতটা পর্যাপ্ত।

কলেজ পড়ুয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, সেটা একটা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। রাস্তায় মানুষকে পিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে তাকে সাহায্য না করে ভিডিও করা হচ্ছে, আবার অনেক পরিবার আছে দোষ না করেও শাস্তি মুখোমুখি হচ্ছে।
সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার সংরক্ষণে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ বিষয়ে কিছুটা দৃষ্টি দেয়া হলেও প্রযুক্তিবিদদের মতে, সময় এসেছে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের।

প্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জ্বোহা বলেন, ভাইরালের বিয়ষটি এখনো আইনে পূর্ণাঙ্গভাবে সংযোজন করা হয়নি।
সহসাই ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপনের মধ্যমে বিষয়গুলো নজরদারিতে আনার কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার সোশ্যাল মিডিয়া এগুলো নজরদারিতে রাখবে। কখন কোন ইস্যুটা অযথাই মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বা কাউকে বিবৃত করছে সাথে সাথে সেটা ট্যাক করা এবং এটার পেছনে কারা আছে তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা।

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় ডাটা পলিসি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও জানান প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

আরো সংবাদ