আজ - সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:৪১

রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৭ জনের মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত ও উপসর্গে চিকিৎসাধীন আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন পাঁচজন। বাকি দুজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে গত ২৪ মে থেকে আজ ২ জুন পর্যন্ত ১০ দিনে এই হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৬৮ জন রোগী। এই ৬৮ জনের মধ্যে ৩৭ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্যরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছেই। প্রায় দেড় বছরের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ ২২০ জন রোগী সেখানে ভর্তি আছেন।বিজ্ঞাপন

সাইফুল ফেরদৌস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন, রাজশাহীর তিনজন ও নাটোরের একজন রয়েছেন। তাঁদের মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ঈদের পর থেকে উদ্বেগজনক হারে মৃত্যু বাড়ছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শুধু শেষ ১০ দিনেই এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ মে ১০ জন, ২৫ মে ৪ জন, ২৬ মে ৪ জন, ২৭ মে ৪ জন, ২৮ মে ৯ জন, ৩০ মে সর্বোচ্চ ১২ জন, ৩১ মে ৪ জন, ১ জুন ৭ জন এবং সবশেষ আজ ২ জুন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মারা গেছেন আরও ৭ জন। এই ১০ দিনে বিভাগের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বলে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এ নিয়ে গত ২৪ মে থেকে আজ ২ জুন পর্যন্ত ১০ দিনে এই হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৬৮ জন রোগী।

বাড়ছে রোগীর চাপ

রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এসব রোগী সামলাতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে ২২০ জন রোগী ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার ভর্তি ছিলেন ২১৬ জন। অথচ গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তি রোগী ছিলেন ১৩৬ জন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় সবার অবস্থাই খুব খারাপ। শুধু করোনা পজিটিভ হলেই ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম, শুধু তাঁদেরই ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে করোনা ইউনিটে শয্যা আছে ২৩২টি। এর মধ্যে কয়েকটি শয্যা খালি আছে। আইসিইউ তো কখনোই খালি থাকছে না।বিজ্ঞাপন

পরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ড আছে আটটি। তাঁরা করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরও একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে যাচ্ছেন। তবে হাসপাতালে এতসংখ্যক রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক প্রয়োজন তাঁদের। তাঁরা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে চিকিৎসক চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। তবে এখনো তাঁরা সাড়া পাননি।

আরো সংবাদ