শার্শা’র জিরেনগাছা, কাশিয়াডাঙ্গা,মাটিপুকুর এলাকার স্থানীয় জনমনে আতঙ্কের আরেক নাম আরমান হোসেন ডাবলু(৪৫)।
শুক্রবার রাতে আটক করে যশোর জেলা ডিবি পুলিশ।
গত জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুস্থানে আওয়ামী সরকারের পতনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উদ্ভত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্থানীয় এলাকায় আরমান হোসেন ডাবলু হয়ে ওঠে ব্যাপক বেপরোয়া। শার্শা থানাধীন জিরেনগাছা, কাশিয়াডাঙ্গা,মাটিপুকুর এই তিন গ্রামে তার নিজস্ব তৈরি ”উলাশী ডাব্লিউ গ্যাং বাহিনী” দিয়ে মাদক, চাঁদাবাজি, লুটপাট, নির্যাতন সহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলো। সে এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে প্রকাশ্যে চালাতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে স্থানীয় মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ। সে এবং তার বাহিনীরা(জবা বিশ্বাস, তোতা বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা) এলাকায় একক আধিপত্য পেতে বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল এবং তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলেই নির্যাতনের স্বীকার হতেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আছে স্থানীয় ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিসহ আওয়ামী সমর্থকদের নিজ এলাকায় থাকতে দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিস্তর অভিযোগ। সে এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে।
আরমান হোসেন ডাবলুর বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজি ছাড়াও রয়েছে বোমাবাজি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ।
এর আগে শার্শা থানা পুলিশ যখন আসামি গ্রেফতারের নিমিত্তে তার এলাকায় প্রবেশ করে তখন সে এবং তার বাহিনী সুপরিকল্পিতভাবে পুলিশকে টার্গেট করে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে চিৎকার করে এলাকার লোক জমায়েত করে পুলিশের উপর ককটেল/বোমা নিক্ষেপ করে। সে বিভিন্ন সময়ে তার এলাকায় পুলিশি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও গত ২৬/১১/২০২৪খ্রিঃ স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই সময়ে জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র গ্ৰুপিংকে পুঁজি করে দুই গ্ৰুপের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির
মূল হোতাও এই আরমান হোসেন ডাবলু। অবশেষে গতকাল রাতে ডিবি পুলিশের অভিযানে বহুল বিতর্কিত ডাবলুকে আটক করেছে।