আজ - মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৩:৫৮

অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন মমতা

আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার অনেক বাকি। তবু এখন পর্যন্ত যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিধস বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার এই বিজয় স্পষ্ট হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে আগেই অভিনন্দনের ঢল নামছে। এই নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে আগ্রাসী প্রচারণা সত্ত্বেও মমতা তাকে কৌশলে, জনগণের ভালবাসা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত তাকে ‘টাইগ্রেস অব বেঙ্গল’ বা পশ্চিমবঙ্গের বাঘিনী বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিরস্কার করে ‘দিদি, ও, দিদি’ বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা যেন ধুয়েমুছে দিলেন সঞ্জয় রাউত। এর জবাব দিতে তিনি মমতাকে ‘টাইগ্রেস অব বেঙ্গল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কালীঘাটে যখন উৎসবের ঢেউ লেগেছে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দের বাধভাঙ্গা জোয়ার এসেছে, তখনই মমতাকে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন ভারতেরই বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা।

এই জয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বিশাল জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এক টুইটে বলেছেন, ভূমিধস বিজয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদিকে অভিনন্দন। কি এক চমৎকার লড়াই! পশ্চিমবঙ্গের মানুষদেরকেও অভিনন্দন। টুইট করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। বিজেপি সরকারের সবচেয়ে কড়া সমালোচকদের অন্যতম তিনি। টুইটে বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি আপনাদের জন্য সব রকম প্রতিকূলতা তৈরি করেছিল। আপনারা যে সেই সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বিজয়ী হয়েছেন, এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। মমতা দিদিকে অভিন্দন। অভিনন্দন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিজন তৃণমূল নেতাকর্মীকে। ওদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। তিনি টুইটে লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই অসাধারণ জয়ের জন্য অভিনন্দন। আশা করি আমরা একসঙ্গে মানুষের কল্যাণে এবং মহামারি নিয়ন্ত্রণে কাজ করব। অভিনন্দন জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি টুইটে লিখেছেন, বাংলার সচেতন নাগরিকরা বিজেপি’র ঘৃণার রাজনীতিকে পরাজিত করেছেন। মানুষের সেবায় ব্রতী পরিশ্রমী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের নেতাদের শুভেচ্ছা।

তিনি আরো লিখেছেন, একজন মহিলাকে বিজেপি যেভাবে ‘দিদি ও দিদি’ বলে কটাক্ষ করছিল, তার যোগ্য জবাব দিয়েছে বাংলার জনগণ। হ্যাশট্যাগে অখিলেশ লিখেছেন ‘দিদি জিও দিদি’। বাংলার ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, কংগ্রেস নয়, এই ভোটে জিতে গোটা দেশের প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলেছেন, খেলা হচ্ছে তো! এ অবস্থায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, কেন এমন ফল জানতে চান বিজেপি প্রধান ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গায়ক বাবুল সুপ্রিয় আর লকেটের পিছিয়ে থাকাটা আশ্চর্যজনক।

আরো সংবাদ